ববি প্রতিনিধিঃ
মনের মধ্যে যখন খুশি এই ছবিটি আঁকি
এক পাশে তার জারুল গাছে দুটি হলুদ পাখি।
বেগুনি রঙের উদ্ভাস নিয়ে এই গ্রীষ্মে ফুটেছে জারুল ফুল। কবিতায় কবি আহসান হাবীব হয়তো কোনো এক গ্রীষ্মের তপ্ততার মধ্যেই স্নিগ্ধ বর্ষায় ভিজতে ভিজতে জারুল ফুলকে মনে লালন করেছিলেন। চৈত্রের প্রচণ্ড তাপদহনে জারুল দিয়ে পথিকের মন কেড়ে নেয়। তারই কাব্যময় দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি)।
ক্যাম্পাসের ছাত্রী হলের রাস্তার দুই ধার দিয়ে, ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় ধার দিয়ে এ ছাড়া একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল আশপাশে জারুল ফুল মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। শীত ও বসন্তের পরে ভরা গ্রীষ্মেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ফুলের মায়াবী আবহে আচ্ছন্ন করে রেখেছে এ জারুল। তেজহীন রৌদ্রদীপ্ত সকাল, তপ্ত দুপুর কিংবা পশ্চিমে এলিয়ে দেওয়া সূর্যহীন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচারীদের দাঁড় করিয়ে নিজের দিকে একপলক দেখার সম্মোহনী শক্তি নিয়ে যেন ফুলগুলো পরিস্ফুটিত হয়েছে।
জারুলের হাস্যোজ্জ্বল প্রকৃতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্র্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী উপমা দত্ত জানান, গ্রীষ্মের উত্তপ্ত প্রকৃতিকে রাঙিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে জারুল। গাড়সবুজ পাতার মাঝে থোকা থোকা বেগুণী রঙের ফুল যেন রূপসীর মতো সাজিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে। প্রতিবছর ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী ছাড়াও অনেক দর্শনার্থীদেরও জারুলের রূপে সজ্জিত এই ক্যাম্পাসের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার বিশেষ আকর্ষণ।
এবিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মনজুুর হোসেন বলেন, প্রত্যেক ঋতুই তার নিজস্ব রুপ নিয়ে প্রকৃতিকে সাজিয়ে তোলে।তেমনি গ্রীষ্মকাল প্রচন্ড তাপদাহ নিয়ে আবির্ভূত হলেও প্রকৃতিকে সাজিয়েছে অপরুপ সৌন্দর্যে ।প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত দক্ষিণবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সেজেছে জারুলের অপরুপ সৌন্দর্যে। তীব্র তাপদাহে জনজীবন যখন ক্লান্ত ঠিক তখন জারুলের সৌন্দর্য বিমোহিত করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের এবং ভ্রমনপিপাসুদের। এছাড়াও জারুলের ভেষজ গুণও রয়েছে – জ্বর, অনিদ্রা, কাশি ও অজীর্ণতায় জারুল উপকারী।
উল্লেখ, জারুল (ইংরেজি: Giant Crape-myrtle, Queen’s Crape-myrtle, Banabá Plant, Pride of India; বৈজ্ঞানিক নাম: Lagerstroemia speciosa) বাংলাদেশের নিম্নভূমির একান্ত অন্তরঙ্গ তরুদের অন্যতম। লেজারস্ট্রমিয়া গণের এই উদ্ভিদ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রজাতি।
মেহরাব হোসেন/