জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রেসক্লাবের উদ্যোগে টানা তৃতীয় বারের মতো মৌসুমি ফল উৎসব উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুন) বিকেল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন সপ্তম ছায়ামঞ্চে এ ফল উৎসব আয়োজন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দেশীয় ফলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া ও পুষ্টিগুণ জানাতে এমন আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা। আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, লটকন, লিচু, পেঁপে, আনারস, আমলকী, সফেদা, পেয়ারাসহ প্রায় ২৫ ধরনের দেশিয় ফলের সমারোহ ঘটে জাবি প্রেসক্লাবের বার্ষিক এ আয়োজনে।
জাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসিব সোহেল এর সঞ্চালনায় উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শফি মুহাম্মদ তারেক বলেন, ‘আমাদের দেশ প্রাকৃতিকভাবেই মৌসুমি ফলের এক বিশাল সমারোহ আছে। দেশিয় ফলগুলো পুষ্টি ও গুণগতমাণে অনন্য৷ নিয়মিত পুষ্টিকর ফল আমাদের শারীরিক ব্যধি থেকে হাজারগুণ দূরে রাখে৷ এ পড়ন্ত বিকেলে সবাই মিলে একসাথে মৌসুমি ফল খাওয়া সত্যিই খুব অন্যরকম এক আয়োজন৷’
সংগঠনের সভাপতি শিহাব উদ্দিন বলেন, মধুমাসে প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমরা ফল উৎসব আয়োজন করেছি৷ পরিবার-পরিজন ছেড়ে আমরা দূরে থাকলেও বন্ধু-সহকর্মী, শিক্ষকদের সাথে একসাথে ফল খাওয়া ভিন্ন আমেজ তৈরি করেছে৷ এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও পারিবারিক আবহ পাওয়া গেছে৷’
সাধারণ সম্পাদক হাসিব সোহেল বলেন, “মধুমাসে দেশের বাজারে এখন নানা প্রকার ফল। পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকায় পূর্বের ন্যায় ঘটা করে ফল খাওয়া হয়না। জাবি প্রেসক্লাব এখানে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের জন্য একটা পরিবার তাই, প্রেসক্লাবের সদস্যদের জন্য তৃতীয়বারের মতো আমাদের এই আয়োজন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাবি প্রেসক্লাবের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান, সাবেক সভাপতি জাহিদ সুলতান লিখন, হাসান তানভীর ও ইমন মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, নুর হাছান নাঈম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে মৌসুমি ফল উৎসব আয়োজন করে। তারপর থেকে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌসুমি এ ফল উৎসব আয়োজন করে আসছে।