জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ( জাবিতে) বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কথাসাহিত্যিক হামীম কামরুল হক ও লেখক শামীম আহমেদের ৫০ তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু তূলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক শামীম রেজার সার্বিক পরিচালনায় ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল রাব্বির পরিচালনায় ২০ মে ( সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার রুমে এই সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগে অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালি, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বোরহান রব্বানী, নাসরুল্লাহ শারাফাত রুহী, আইনুন জারিয়া। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্ণালী মৈত্র। সাংস্কৃতিক পর্বে হামীম কামরুল হকের ‘ বিজনপুরের রেশমিচুড়ি ‘ অবলম্বনে আনিকা ইনতিসার এর চিত্রনাট্য ও নির্দেশনায় গীতিনাট্য পরিবেশন করা হয়। সৌমেন্দ্র ও সমজীৎ এর গানে ও রাহাতুল রাত্রির নৃত্যে পরিবেশ করা হয় আরও একটি নাটক।
সুবর্ণজয়ন্তীর প্রতিপাদ্য ছিল আলোর পথে পা ফেলেছো, আয়ু রেখা ধরে নিয়ত স্বপ্ন বুনো আমাদের লক্ষ্য করে।
১৯৭৩ সালের ২২ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া কথাসাহিত্যিক হামীম কামরুল হক নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে লেখালেখি করছেন। তিনি লিখে চলছেন গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও সমালোচনা। এছাড়াও করছেন অনুবাদ ও গবেষণামূলক কাজও। বর্তমানে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৫টি। ২০০৭ সালে রাত্রি এখনো যৌবনে উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির জন্য তিনি পেয়েছিলেন ‘কাগজ তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার’। ২০২৩ সালে পেয়েছেন লেখকমালা সম্মাননা।
এছাড়াও তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে আছেন। শিক্ষার্থীদের মাঝেও বেশ জনপ্রিয় তিনি।
সুরে সুর মিলিয়ে, শব্দের জালে শব্দ আটকিয়ে লিখে যাচ্ছেন অবিরত এই কথাসাহিত্যিক।
লেখক শামীম আহমেদের ও বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই ছাত্রের পেশা অধ্যাপনা। মুর্শিদাবাদ জেলার সালার থানার খাঁড়েরা গ্রামে বাড়ি। অধ্যাপনার পাশাপাশি মহাভারত নিয়ে নিরন্তর চর্চা। বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের দর্শনের সহকারী অধ্যাপক। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ মিলিয়ে গ্রন্থের সংখ্যা দশ। গাঙচিল থেকে প্রকাশিত গ্রন্থ ‘সাত | আসমান’ (উপন্যাস), মহাভারতে যৌনতা’ (প্রবন্ধ), মহাভারতে দ্রৌপদী’ (প্রবন্ধ)।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু তূলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ও অন্যন্য বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।