The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪

জাবিতে ‘যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটি’র নিজস্ব কক্ষ উদ্বোধন

জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটি’ (Complaint Cell) এর নিজস্ব অফিস কক্ষ উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে আয়োজিত এক সভায় অভিযোগ সেলের এই কক্ষ উদ্বোধন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের দোতলার একটি অংশকে যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত অভিযোগ সেলের অফিস কক্ষ হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বক্তব্যে নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে শিক্ষা গ্রহণ পরিবার থেকে শুরু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, কর্ম প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সর্বত্র নারী-পুরুষ বা ছেলে-মেয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও সহমর্মিতা প্রদর্শন করা হলে নিপীড়ন ও নির্যাতন মুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌন নিপিড়ন সম্পর্কে সচেতন করতে নিয়মিত সভা-সমাবেশ, রাউন্ড টেবিল বৈঠক আয়োজনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন কোনটি যৌন নিপীড়ন আর কোনটি যৌন নিপীড়ন নয় তা স্পষ্ট জানতে হবে। কোনটি প্রক্টর অফিসের এখতিয়ারে আর কোনটি কমপ্লেইন্ট সেলে আসার মত তা সম্পর্কে সকলকে অবগত হওয়ার আহবান জানান।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সেলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার বলেন, ২০০৯ সালে একটি আন্দোলনের ফলে হাইকোর্টের নির্দেশ আসে সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও অফিসগুলোতে সেল প্রতিষ্ঠা করার। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমি নিজেও এই সেলের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেছি। বস্তুনিষ্ঠভাবে কাজ করতে গেলে যারা এই সেলে কাজ করেন তারা অনেকের অপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সেসময় আমাদের কোন নির্দিষ্ট অফিস-কক্ষ ছিল না। কখনো শিক্ষকদের ব্যক্তিগত রুমে, কখনো সিনেট হলে কাজ করতে হত। নিজস্ব ফটোকপি মেশিন না থাকায় রাত ২ টার সময় ঘুম থেকে ডেকে তুলে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে আমাদের। তবে, আমি এটা বলতে পারি আমার একবছরের আহ্বায়ককালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের কাজে কোন হস্তক্ষেপ করেনি। এখন শুধু নারী নির্যাতন নয়, পুরুষ নির্যাতনও সমানহারে বাড়ছে, কিন্তু এগুলো সেভাবে সামনে আসছে না। মনে রাখতে হবে, যৌন নিপীড়ন সেল শুধু নারী নির্যাতন নয়, পুরুষ নির্যাতনকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নূরুল আলম। তিনি বলেন, কোর্ট থেকে নির্দেশনা আসার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম কমপ্লেইন্ট সেল গঠিত হয়। সরকার রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক খুরশিদা বেগমকে আহবায়ক করে প্রথম সেই সেল গঠন করা হয়েছিল। সেক্সুয়্যাল হ্যারেজমেন্ট সম্পর্কে সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে হবে। আমরা এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি পালন করছি। আমার অফিসে নির্দেশনা দেয়া আছে, আমি যত জরুরি মিটিংয়েই থাকি না কেন, যৌন নিপীড়নের কোন অভিযোগ দিলে তা যেন তৎক্ষনাৎ অবগত করানো হয়। এ সংক্রান্ত ফাইল সাইন করাতে যেন দেরি না হয়।

তিনি আরও জানান, সেল গঠনের পর এ পর্যন্ত মোট ২৭ টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে ২৩টি অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষ বরাবর পেশ করা হয়েছে। ৪ টি অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে। এর মধ্যে ১৮ টি অভিযোগে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে, ১৭টি অভিযোগের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে, একটি অভিযোগ সিন্ডিকেট থেকে পুনরায় সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্ট কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি কেসগুলো সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্টের মধ্যে পরে না বলে কমিটি জানিয়েছে। অর্থাৎ এ থেকে বোঝা যায় যে, এই সেল নিপুণতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো: মনজুরুল হক, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন তাপস কুমার দাস, যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জেবউননেছা, যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির বহি:স্থ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জোবাইদা নাসরিন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপ- পরিচালক মৌলি আজাদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারীর ৩ তারিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত অভিযোগ সেল পুনর্গঠন করা হয়। যৌন নির্যাতন, যৌনতা বিষয়ক হয়রানি ইত্যাদি বিষয়ে অভিযোগ দায়েরের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে পুনর্গঠিত কমিটির সভাপতি হন লোক-প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবউননেছা। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস, পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব জেবুন্নেছা জেবা, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ইশিতা আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে আছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (সাধারণ প্রশাসন) শাহনাজ হোসেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. জাবিতে ‘যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটি’র নিজস্ব কক্ষ উদ্বোধন

জাবিতে 'যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটি'র নিজস্ব কক্ষ উদ্বোধন

জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের 'যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটি' (Complaint Cell) এর নিজস্ব অফিস কক্ষ উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে আয়োজিত এক সভায় অভিযোগ সেলের এই কক্ষ উদ্বোধন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের দোতলার একটি অংশকে যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত অভিযোগ সেলের অফিস কক্ষ হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বক্তব্যে নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে শিক্ষা গ্রহণ পরিবার থেকে শুরু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, কর্ম প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সর্বত্র নারী-পুরুষ বা ছেলে-মেয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও সহমর্মিতা প্রদর্শন করা হলে নিপীড়ন ও নির্যাতন মুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যৌন নিপিড়ন সম্পর্কে সচেতন করতে নিয়মিত সভা-সমাবেশ, রাউন্ড টেবিল বৈঠক আয়োজনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন কোনটি যৌন নিপীড়ন আর কোনটি যৌন নিপীড়ন নয় তা স্পষ্ট জানতে হবে। কোনটি প্রক্টর অফিসের এখতিয়ারে আর কোনটি কমপ্লেইন্ট সেলে আসার মত তা সম্পর্কে সকলকে অবগত হওয়ার আহবান জানান।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সেলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার বলেন, ২০০৯ সালে একটি আন্দোলনের ফলে হাইকোর্টের নির্দেশ আসে সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও অফিসগুলোতে সেল প্রতিষ্ঠা করার। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমি নিজেও এই সেলের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেছি। বস্তুনিষ্ঠভাবে কাজ করতে গেলে যারা এই সেলে কাজ করেন তারা অনেকের অপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সেসময় আমাদের কোন নির্দিষ্ট অফিস-কক্ষ ছিল না। কখনো শিক্ষকদের ব্যক্তিগত রুমে, কখনো সিনেট হলে কাজ করতে হত। নিজস্ব ফটোকপি মেশিন না থাকায় রাত ২ টার সময় ঘুম থেকে ডেকে তুলে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে আমাদের। তবে, আমি এটা বলতে পারি আমার একবছরের আহ্বায়ককালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের কাজে কোন হস্তক্ষেপ করেনি। এখন শুধু নারী নির্যাতন নয়, পুরুষ নির্যাতনও সমানহারে বাড়ছে, কিন্তু এগুলো সেভাবে সামনে আসছে না। মনে রাখতে হবে, যৌন নিপীড়ন সেল শুধু নারী নির্যাতন নয়, পুরুষ নির্যাতনকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নূরুল আলম। তিনি বলেন, কোর্ট থেকে নির্দেশনা আসার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম কমপ্লেইন্ট সেল গঠিত হয়। সরকার রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক খুরশিদা বেগমকে আহবায়ক করে প্রথম সেই সেল গঠন করা হয়েছিল। সেক্সুয়্যাল হ্যারেজমেন্ট সম্পর্কে সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে হবে। আমরা এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি পালন করছি। আমার অফিসে নির্দেশনা দেয়া আছে, আমি যত জরুরি মিটিংয়েই থাকি না কেন, যৌন নিপীড়নের কোন অভিযোগ দিলে তা যেন তৎক্ষনাৎ অবগত করানো হয়। এ সংক্রান্ত ফাইল সাইন করাতে যেন দেরি না হয়।

তিনি আরও জানান, সেল গঠনের পর এ পর্যন্ত মোট ২৭ টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে ২৩টি অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষ বরাবর পেশ করা হয়েছে। ৪ টি অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে। এর মধ্যে ১৮ টি অভিযোগে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে, ১৭টি অভিযোগের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে, একটি অভিযোগ সিন্ডিকেট থেকে পুনরায় সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্ট কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি কেসগুলো সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্টের মধ্যে পরে না বলে কমিটি জানিয়েছে। অর্থাৎ এ থেকে বোঝা যায় যে, এই সেল নিপুণতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো: মনজুরুল হক, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন তাপস কুমার দাস, যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জেবউননেছা, যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির বহি:স্থ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জোবাইদা নাসরিন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপ- পরিচালক মৌলি আজাদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারীর ৩ তারিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত অভিযোগ সেল পুনর্গঠন করা হয়। যৌন নির্যাতন, যৌনতা বিষয়ক হয়রানি ইত্যাদি বিষয়ে অভিযোগ দায়েরের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে পুনর্গঠিত কমিটির সভাপতি হন লোক-প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবউননেছা। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস, পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব জেবুন্নেছা জেবা, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ইশিতা আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে আছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (সাধারণ প্রশাসন) শাহনাজ হোসেন।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন