আসিবুল ইসলাম রিফাত,জাবি প্রতিনিধিঃ বিজয় দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র তিন দিনব্যাপী বিশেষ সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আয়োজনের প্রথমদিনে আজ বৃহস্পতিবার সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আনন্দন’। তাদের পুরো পরিবেশনায় ছিলো সাতটি দেশাত্মবোধক গান। ‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা’, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ’, তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’, ‘মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘ মা গো ভাবনা কেন’, আমার ও ‘আমার সোনার বাংলা’ পরিবেশন করা হয়।
গানগুলো পরিবেশন করেন আনন্দন কর্মী অনুসূয়া, সারাহ, আকিব, ইকরা, অরুন্ধতী, রাজ ও স্বদেশ।
অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে আনন্দনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান বলেন, ‘একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে ত্রিশ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন তা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই প্রগতির পথে চলে। আনন্দন সেই প্রগতিশীলতাকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনটি আবারও মঞ্চে ফিরেছে এটা খুবই আনন্দের বিষয়। সাংগঠনটির কর্মকান্ড আরও গতিশীল হবে বলে আমি মনে করি।’
অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, আমি দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে আনন্দনের সাথে আছি। তাদের হয়ে মুক্তমঞ্চে উঠি। আনন্দন তাদের কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে প্রয়াত কবি শামসুর রাহমানের হাত ধরে জাবিতে ‘আনন্দন’-এর পথচলা শুরু হয়।