জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় এবং সুস্থ জীবনের জন্য ভূ-স্থানিক বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে পাবলিক লেকচার অনুষ্ঠিত হয়েছে।Planetary Health, Bangladesh and Geoinformatics শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করেছে জাবির ইন্সটিটিউট অব রিমোট সেন্সিং এন্ড জিআইএস।
রবিবার (৯ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এ সেমিনারটি আয়োজিত হয়।
সেমিনারে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পরিবেশ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপ্পন করেন কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির রিসার্চ ফেলো ড. ব্যোমকেশ তালুকদার। প্রেজেন্টেশনে তিনি বলেন, ‘ভূপ্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে এ অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সাথে আমাদের খাদ্য সংরক্ষণের প্রযুক্তিও খুব আধুনিক নয়৷ আমাদের শিশুরা জাংক ফুডে আসক্ত হয়ে পড়ছে৷ তাই আমরা প্ল্যানেটারি ডায়েটের কথা বলছি। প্ল্যানেটারি ডায়েট বলতে বুঝায় প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্যতালিকা৷ আমাদের ফুড সিস্টেমে এটা না থাকলে প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদিত হবে না।’
বাংলাদেশের পরিস্থিতি উপস্থাপন করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতিবছর এক থেকে দেড় মিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ ঘুর্ণিঝড়ের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে লবণাক্ত পানি ঢুকে উপকূলে যাচ্ছে৷ উচ্চ লবণাক্ততা গর্ভপাতের উচ্ছার ও যৌনস্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলছে৷ শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে, ক্যান্সার আক্রান্তের হার বেড়ে চলেছে।
এ সময় ড. তাজউদ্দিন শিকদার বলেন, শিল্প বিপ্লবের পর কোয়ালিটি অব লাইফ নিশ্চিত হয়েছে। ১৮ শতকে যেখানে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ১০০ কোটি, ১৯৫০ সালে তিনগুণ বেড়েছে। ১৯৬০ এর পর মেডিকেল স্বাস্থ্যসেবায় বিপ্লব হওয়ার পর এ শতকে জনসংখ্যা বেড়ে ৬০০ কোটিতে পৌছেছে৷ কাজেই এখন সুস্থ্যভাবে টিকে থাকার জন্য আমাদের প্ল্যানেটারি হেলথের উপর জোর দিতে হবে।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থায় মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের অভাব নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। জনস্বাস্থ্যর উপর গুরুত্বরোপ করে আমাদের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ইন্সটিটিউটের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।