The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

জাবিতে প্রজাপতি মেলা ২ ডিসেম্বর

জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার আয়োজনে প্রজাপতি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ০২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ১২ তম বারের মতো ‘প্রজাপ্রতি মেলা-২০২২’ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৩০ নভেম্বর ) বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেলার আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য জানান।

অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারের মেলায়ও থাকছে র‍্যালী ও প্রজাপতির গল্পে পাপেট শো, শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা ও কুইজ প্রতিযোগিতা,প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা, জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা, বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং সবশেষে পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রতিযোগিদেরকে মেলার দিন সকাল সাড়ে ৯ টার মধ্যেই নাম নিবন্ধন করতে হবে।

এ বছর প্রকৃতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য ‘তরুপল্লব’ সংগঠনকে বাটারফ্লাই এওয়ার্ড-২০২২ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী দীপ্ত বিশ্বাসকে বাটারফ্লাই ইয়াং এনথুসিয়াস্ট-২০২২ এওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কয়েক বছর আগেও ১১০ ধরনের প্রজাপতির দেখা মিলতো,সেটা গতবছরে ৬০ ধরনের ছিলো সেখানে এখন প্রায় ৫২ ধরনের প্রজাপতি আছে। দিন দিন প্রজাপতির সংখ্যা কমে যাওয়া প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার একটি বিরূপ ফলাফল। সেই জায়গা থেকে মানুষেরও প্রকৃতির প্রতি, প্রজাপতির প্রতি সচেতন হওয়া উচিত।

তিনি আরো বলেন,প্রজাপতিকে বাঁচিয়ে রাখতে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রজাপতি সংরক্ষণ পদ্ধতি শিখিয়ে দিতেই আমাদের এ আয়োজন। তাই প্রজাপতি মেলা আয়োজনের একযুগ উপলক্ষে প্রজাপতির লার্ভা ও প্রজাপতি নির্ভর গাছপালার তথ্যচিত্র নিয়ে একটি প্যাম্পলেট প্রকাশিত হবে, যেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা প্রজাপতি এবং এ নির্ভর গাছপালা স্থান পাবে। এছাড়াও এ বছরে মেলার টাইটেল স্পন্সর হিসেবে থাকবে প্রসাধনী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ‘কিউট’ এবং সহযোগী সংগঠন হিসেবে থাকছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন ও আই ইউ সি এন (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার)।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.