জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ক্যাম্পাসে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ এর নবীন শিক্ষার্থী জাহিদের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যাক্তির শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো – ক) ক্যাম্পাসের রাস্তায় মোটরচালিত যানবাহনের জন্য গতিসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া এবং গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গতিরোধক নির্মাণ করা। খ) নম্বরপ্লেট ও বৈধ কাগজপত্রহীন যানবাহন শনাক্ত করে সেগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ ঘোষণা করা। গ) লাইসেন্সবিহীন যানবাহন চালকদের ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা ও এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। ঘ) পথচারীদের জন্য ক্যাম্পাসের সড়কের দুই পাশে স্বতন্ত্র ফুটপাত /ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা।
মানববন্ধনে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ফেরদৌসীর সঞ্চালনায় কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো আরও বিস্তৃত করতে হবে এবং সড়কগুলোর পাশে ফুটপাত দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে গাড়ির আনাগোনা বেড়েছে, সেই সাথে শিক্ষার্থীদেরও সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়কগুলোতে নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে হবে।”
জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি রাকিব আহমেদ বলেন, “দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যাক্তি যেই হোন না কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুসারে বিচার করতে হবে এবং একই ধরনের ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসনকে নিশ্চয়তা দিতে হবে। সেই সাথে আমাদের দাবিদাওয়া পূরণ না হলে এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে ”
নুর হাসান নাঈম, জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, বলেন, ” বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীর জন্য এটি একটি মর্মাহত ঘটনা।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এধরনের ঘটনায় বারংবার অবহেলা প্রদর্শন দুঃখজনক। এখন থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কোনো শিক্ষার্থীর জন্য যেন দুর্ঘটনার কারণ না হয়।”
এছাড়াও, মানববন্ধনে “মানববন্ধনে ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া ফেরদৌসের সঞ্চালনায় এবং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রাকিব আহমেদ এর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবীকি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো.এমরান জাহান,অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক মো. সোহেল রানা, অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান, অধ্যাপক কবিরুল বাশার, অর্থনীতি বিভাগের মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক মো.সালেকুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো.এজহারুল ইসলাম, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম,ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় এবং ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ প্রমুখ।”