বাকৃবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা এবং সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য হত্যার প্রতিবাদে বাকৃবি ছাত্র ইউনিয়ন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাকৃবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের দপ্তর সম্পাদক বি এম আজিজুল হাকিম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে আটকে রেখে মীর মশাররফ হোসেন হলসংলগ্ন জঙ্গলে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও গত ২২ জানুয়ারি ভোর ৫ টার দিকে যশোরের বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য নিহত হয়।এই নিহতের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার গত ২৮ জানুয়ারি লালমনিরহাটের পাটগ্রামের আঙ্গুর পোতা সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত হন। এসব ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ প্রতিবাদ মিছিল এবং সমাবেশ করে।
মিছিলোত্তর সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকত বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আয়োজিত এক সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন বাকৃবি সংসদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, বাংলাদেশের সীমানায় এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ড ঘটার পরও সরকারের পক্ষ থেকে ন্যূনতম প্রতিবাদ জানানো হয়নি। ভারতীয় প্রভুর সামনে সরকার যে কতটা নতজানু তা এই ঘটনায় প্রকাশ পায়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটার পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ক্ষমতার ছত্রছায়ায় থেকে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতারা কতটা বেপরোয়া হয়ে গেছে তা এই ঘটনা ই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।
এসময় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তারেক আবদল্লাহ বিন আনোয়ার বলেন, সীমান্তে হত্যাকান্ডের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও ‘ফেলানি’ নামের একজন কিশোরীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে দেবার ঘটনা ঘটেছিল। প্রতিনিয়তই সীমান্তে এ ধরনের হত্যাকান্ড ঘটে যাচ্ছে অথচ দেশের সরকার মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। কোনো স্বাধীন সার্বভৌম দেশের সরকার এভাবে নিশ্চুপ থাকতে পারে না। এই ফ্যাসিবাদী সরকার যে পুরোপুরি ভারতের আজ্ঞাবহ তাতে আর কোন সন্দেহ নেই। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তাতে অবিলম্বে সেই ছাত্র লীগ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।