জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন ইসলামনগর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলেন- মো. রাকিব হোসেন (২৮) ও মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ (২৮)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা খন্দকার বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৫৪ ধারায় মামলা করা হবে। পরবর্তীতে অভিযোগ প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের শাস্তি দেবে।
তিনি আরো বলেন, ‘৯৯৯ এ খবর পেয়ে আমরা ক্যাম্পাসে এসেছি। অভিযুক্তদের আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযোগ ও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রাকিব ও মেজবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৪২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মিশুর অতিথি। মিশুর মাধ্যমে অভিযুক্তদের ভুক্তভোগীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে মিশু ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করার সময় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর বাসায় অবস্থান করছিলেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঘুমিয়ে পড়লে অভিযুক্তরা সেই সুযোগে ধর্ষণচেষ্টা করে।
ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থী বলেন, ওরা (অভিযুক্তরা) আমার ক্যাম্পাসের বড় ভাইয়ের বন্ধু। তার মাধ্যমে আমার তাদের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা ও আলাপচারিতার মাধ্যমে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। গত শুক্রবার তারা মিশু ভাইসহ আমার বাড়িতে থাকে। রবিবার মিশু ভাই ক্যাম্পাসে ছিলেন না। তারা রান্না করে আমার সঙ্গে খেতে চেয়েছিলো জানালে আমি তাদের আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। রান্নার অর্ধেক সময়ে আমি অসুস্থার কারণে রেস্ট নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। আমার ঘুম ভাঙার পর দেখি একজন (রাকিব) আমার শরীরে উপর আপত্তিকর অবস্থায় আছে। আমি পরে সেখান থেকে উঠে গিয়ে পাশের ঘরে গিয়ে দেখি অন্যজন (মেজবাহ) খুবই চিন্তিত অবস্থায় বসে আছে। আমি তাদের দুজনকে আমার বাসা থেকে বের করে দিয়ে গেটের সামনে আটকে রাখি এবং আমার বন্ধুদের ফোন দেই। তারা তাদের (অভিযুক্তদের) ধরে নিয়ে যায়।
এ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল বলেন, ঘটনার খবর শুনতে পেয়েই আমি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেই। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে।