জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা বন্ধে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে তদারকি সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। শিগগিরই এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে সংস্থাটি। যদিও এই নির্দেশনা জাবি মানবে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলছে না কর্তৃপক্ষ।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, জাবির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফি বাবদ আদায় করা অর্থ ব্যয়ের অনিয়ম তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কিছু অসামঞ্জস্যতা খুঁজে পায় ইউজিসি। প্রতিটি বিভাগ অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া এর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা ফি থেকে একেক শিক্ষকের প্রায় ২ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় করাও অন্যতম। এসব কিছু বন্ধ করতে এবং শিক্ষার্থীদের আর্থিক ক্ষতি কমাতে একাধিক ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করতে যাচ্ছে ইউজিসি।
ইউজিসি বলছে, ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয়। সেই অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চারটি ইউনিটের বেশি ভর্তি অথবা পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ নেই। তবে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের স্বার্থে একাধিক ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। সেটি বন্ধ করতে শিগগিরই নোটিশ পাঠানো হবে।
এ প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর দিল আফরোজা বেগম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। এটি শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে ক্ষতি করছে। এছাড়া তারা প্রতিটি বিভাগে আলাদা আলাদা ভর্তি করায়। এতেও শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা এই বিষয়গুলো বন্ধ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চারটি ইউনিটের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কিংবা ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা নেই। ফলে জাবিতে একাধিক ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া তাদের কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি নেয়ারও নির্দেশনা দেয়া হবে।
ইউজিসির এমন নির্দেশনা মানা হবে কিনা জানতে চাইলে জাবি উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. নুরুল আলম বলেন, ইউজিসি থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পাওয়ার পর বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।