জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিতর্ক সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশনের (জেইউডিও) উদ্যোগে ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ: অভিঘাত ও উত্তরণ’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
সংলাপে বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি ডালিয়া বলেন, ‘জাতি, ধর্ম, বর্ণ নিয়ে পাঠ আলাদা হলেও আমাদের গন্তব্য এক। নতুন বাংলাদেশের অভিঘাত উত্তরণে ভিন্নমতকে সম্মান দিয়ে চলতে হবে। এছাড়া খেয়াল রাখতে হবে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন তথাকথিত ‘একাত্তরের চেতনা’ না হয়।’
অ্যাক্টভিস্ট তুহিন খান বলেন, ‘আন্দোলন পরবর্তী সময়ে একটি গোষ্ঠী মানুষের রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করছে। এছাড়া ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় যে যোগাযোগ বৈকল্য ছিলো তা আবারও ফিরে আসছে, যা চলমান থাকলে আন্দোলনের সফলতা নষ্ট হবে।’
আইনজীবী মানজুর আল মতিন বলেন, ‘আন্দোলনের সময় নারী-পুরুষ, বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশা নির্বিশেষে সকলে মানুষ হয়ে উঠেছিলো। এই ধারা অব্যাহত থাকা দরকার। আমরা মৃত্যুর ভয়কে উপেক্ষা করে আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। তাই প্রেক্ষিতে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে পেরেছি। আমরা এখন স্বাধীনভাবে চলতে পারছি, কথা বলতে পারছি, এর থেকে রড় প্রাপ্তী আর কি হতে পারে?’ পরে তিনি কাজী নজরুল ইসলামের ‘বোধন’ কবিতা আবৃত্তি করেন।
এ সময় জেইউডিও’র সাবেক সহ-সভাপতি ও টিআইবি’র উপ-সমন্বয়ক জাফর সাদিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, বিবিসি’র সাংবাদিক মুকিমুল আহসান হিমেল ও জেইউডিও’র সভাপতি তাপসী দে প্রাপ্তি প্রমুখ।