জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গত ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় সমর্থনকারী একজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় মীর মশাররফ হোসেন হলে তার জিনিসপত্র নিতে আসলে তাকে আটক করে প্রক্টরের হাতে তুলে দেয়।
আটককৃত শিক্ষার্থী নাম ফয়সাল আলিম আলফা, তিনি গণিত বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মীর মশাররফ হোসেন হলে অবৈধভাবে অবস্থান করে আসছিলেন৷
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলা জানা যায়, ১৫ই জুলাই হামলার পর থেকে জুলাই গণঅভ্যূত্থানকে দমানের জন্য আলফা ক্রমাগতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে আসছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে ফেসবুকে বিভিন্ন ফেইক আইডি খুলে আন্দোলনকরীদের হুমকি দেন আন্দোলনকে থামানোর জন্য। এছাড়া নিজ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী সদস্য পদে এখনো বহাল রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, আটককৃত আলফা হলে মাদক সেবন ও মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য ছিল । আটক করে মীর মশাররফ হোসেন হলের গেস্ট রুমে নিয়ে এসে প্রক্টরকে ফোন দেওয়া হয়।
এরআগে, ৫ই আগস্টের পর থেকে বলা হয় যেন হলের এদিক না আসে। এরপর সে কথা না শুনে হলের সামনে কয়েকবার আসে এবং হলে থাকা শুরু করে। তার এই আসা এবং হলে থাকা সন্দেহজনক মনে হয়েছে। এছাড়া ৫৩ ব্যাচের উসকানিমূলক কাজে জড়িত থাকার কারণে তাকে আটক করে গেস্ট রুমে নিয়ে আসা হয়।
মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, আলফার বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ পেয়েছি। জুলাইয়ের হামলার সমর্থনকারী হিসাবে থাকায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে আলফা হল ত্যাগ করে৷ পরবর্তীতে আলফা আবারও আসলে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে ও গেস্টরুমে রাখে এবং বিষয়টি আমাকে জানায়। পরে সাথে সাথে প্রক্টর অফিসে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাড়ে ৩টায় দিকে ফোন পেয়ে আমরা এখানে আসি। এখন আমরা নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে যাচ্ছি এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।