জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের(জাবি) অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনে’র নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী লাল ডেবিড বম এবং ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ম্যানথাপ ম্রো কে সাধারন সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডিজেনাস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভায় সদ্য বিদায়ী সভাপতি মংফা বম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা শাখার উপ-পরিচালক ও সংগঠনের উপদেস্থা উথোয়াইচি মারমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব প্রাপ্তরা হলেন : নিপুণ ত্রিপুরা, অংশৈনু মারমা,মংথিজাউ রাখাইন,রীতাশ্রী হাজং ও থোয়াই মারমা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আর্নল্ড দ্রুং, শৈমিং মারমা ও পূর্ণবসু তঞ্চঙ্গ্যা।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক জয়ন্ত ত্রিপুরা ও মন্জু ইয়াংয়ুন, ছাত্রী বিষয় সম্পাদক শিলবিয়া ম্রং,সাংগঠনিক সম্পাদক এলিজা পাংখোয়া, অর্থ সম্পাদক উসাই থিং মারমা। শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম সম্পাদক অংহো খুমি আরসি চাকমা ও জিকো খিয়াং। তথ্য ও প্রচার সম্পাদক পংকজ ফ্রান্সিস, ত্রিবেনী চাকমা, অনন্ত ত্রিপুরা। দপ্তর সম্পাদক রিং ইয়ং ম্রো, রনেল তঞ্চঙ্গ্যা, তুতুল তঞ্চঙ্গ্যা, ক্রীড়া সম্পাদক জুয়েল ত্রিপুরা, মৃত্তিকা চাম্বুগং। এছাড়াও কার্যকরী সদস্য হিসেবে রয়েছেন ৫০ তম আবর্তনের সকল আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।
এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডিজেনাস এসোসিয়েশনের বার্ষিক সভায় সংগঠনের সকল সদস্য একত্র হয়ে বনবোজনের আয়োজন করেন এবং সদ্য বিদায়ী কমিটির কাছে থেকে নতুন কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উথোয়াইচি মারমা বলেন, “এই সংগঠন আমাদের শিকড়কে ধরে রাখার একটি মাধ্যম, আমরা যেহেতু সংখ্যায় কম এবং আমাদের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সাথে প্রতিযোগিতা করেই টিকে থাকতে হবে, তাই সবার পড়াশোনা করে নিজেকে দক্ষ নাগরিকে পরিণত করতে হবে।”
সংগঠনটির আগামী কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সদ্য নির্বাচিত সভাপতি ডেভিড বম বলেন “আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, পালন করা চ্যালেন্জের ব্যাপার। কারন এখানে বাংলাদেশের পার্বত্য ও সমতলের সকল আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে এক্ষত্রে কাজ করতে হয় । আমরা সংগঠনের সদস্যরা যেন দক্ষ জনবল হয়ে উঠতে পারি সে জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়ে কাজ করবো।”
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাঙালি শিক্ষার্থী ব্যতিত বাংলাদেশের পার্বত্য ও সমতলের সকল(প্রায় ৪৯টি) জনগোষ্ঠীগুলোর শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে।