জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা দেশটির পরবর্তী । শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই শেষে তাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। খবর রয়টার্সের।
ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) হাল ধরতে এটি ছিল ইশিবার পঞ্চম ও তার নিজের ভাষ্যে ‘সর্বশেষ’ প্রচেষ্টা। ৬৭ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ কট্টর জাতীয়তাবাদী নেতা সানায়ে তাকাইচিকে হারিয়ে এলডিপি নেতা নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোটে জয়লাভের পর এলডিপির আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে এক বার্তায় ইশিবা বলেছেন, ‘জনগণের ওপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে। সাহস ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে সত্যের পথে থাকতে হবে। আমরা সবাই যেন আবার হাসিমুখে বাঁচতে পারি, সেটা নিশ্চিতে জাপানকে নিরাপদ করে তুলতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রায় সাত দশকব্যাপী জাপান শাসন করছে এলডিপি। পার্লামেন্টে তাদেরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় দলের নেতাই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায়। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন ইশিবা।
আগামী সোমবার পদত্যাগ করবেন কিশিদা ও তার মন্ত্রীসভা। মঙ্গলবার এক বিশেষ অধিবেশনে ইশিবাকে তার দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
গত আগস্ট মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ঘোষণা দেন যে এলডিপির নেতৃত্ব নির্বাচনের পরবর্তী লড়াইয়ে তিনি নামছেন না। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে পরবর্তী তিন বছরের জন্য এলডিপির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ফুমিও কিশিদা। এরপর জাতীয় নির্বাচনে জিতে একই বছরের অক্টোবরে তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন।
এলডিপির ভেতরে বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশিত হওয়ায় ফুমিও কিশিদার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। করোনা মহামারি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা মাথায় নিয়ে ইউশিহিদে সুগা বিদায় নিলে এলডিপির প্রধান হয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন ফুমিও কিশিদা। এর আগে তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।