গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছ পোষণ করেও যুক্ত হতে পারেনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যুক্তি হিসাবে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়াকে সামানে এনে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে শুরু করে নানা অজুহাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা বিরত থাকতে হয়েছে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে পরবর্তীতে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রমে যুক্ত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে বলে জানা গেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসি ভস্যামতে, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একটি একক পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা আবশ্যক। পাশ্ববর্তীদেশ ভারতের মতো তারাও ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী। এজন্য তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছে। তবে বড় বড় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারাজির কারণে সেই উদ্যোগ নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি।
ইউজিসির মতে, বর্তমানে তিনটি গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয় ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে। এছাড়াও পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা নিচ্ছে। ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পুরোপুরি লাঘব করা যায়নি। তাই ভবিষ্যতে তারা সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রিত করে একটি কমন/ একক পরীক্ষা নিতে আগ্রহী। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কেও এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।
জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেন, আমরা সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রিত করেই একটি কমন পরীক্ষা নিতে চাই। কেন্দ্রীয় এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করবেন। এরপর প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন। পাশ্ববর্তীদেশ ভারতে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক দিল আফরোজা বলেন, ইতোপূর্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার প্রস্তাবনা দিয়েছিল। তবে তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক বেশি। অনার্স-মাস্টার্স ছাড়াও আরে অনেক কলেজ রয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করার মতো সক্ষমতা আমাদের এখনো তৈরি হয়নি। তবে ভবিষ্যতে স্নাতক পর্যায়ের ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা গুচ্ছে যুক্ত করার চিন্তাভাবনা করছি।