The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে বিশেষ সপ্তাহ

জাতীয়, উন্মুক্ত ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেসব শিক্ষার্থী এখনো করোনার টিকা নিতে পারেননি, তাঁদের টিকা দিতে ‘বিশেষ সপ্তাহ’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৬ জানুয়ারি থেকে এই সপ্তাহ শুরু হবে।

এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে টিকা দেওয়ার বিষয়ে আজ মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কতৃর্পক্ষের সঙ্গে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই ‘বিশেষ সপ্তাহ’ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় উপস্থিত একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, সভায় আলোচনা হয়েছে এই সপ্তাহ চলার সময়ে প্রতিটি উপজেলা বা থানায় নির্ধারিত বুথ করা হবে। সেখানে ওই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রমাণ (শিক্ষার্থীর প্রমাণ, সেটি পরিচয়পত্রও হতে পারে) দেওয়া সাপেক্ষে টিকা নিতে পারবেন।

এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরাসরি শিক্ষার্থী পড়ানো হয় না। অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরাই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সভায় জানানো হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত আট লাখের মতো শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন। ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এখনো টিকা নিতে পারেননি। আর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন শিক্ষার্থী লাখের নিচে। আর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন শিক্ষার্থীর প্রকৃত তথ্য জানা যায়নি।

আগের দিন গতকাল সোমবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, এখনো টিকা নিতে না পারা দেশের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৭৫ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে করোনার টিকা দেওয়া হবে। এই টিকা দিতে শিক্ষার্থীদের টিকা নিবন্ধনের নিয়মও শিথিল করা হয়েছে।

ওই সংবাদ সম্মেলনেই মন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, জাতীয়, উন্মুক্ত ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে টিকা দেওয়ার বিষয়ে আজ সভা হবে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৯৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু হয়েছিল। টানা প্রায় দেড় বছর বন্ধের পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সীমিত পরিসরে ক্লাস হচ্ছে। পরীক্ষাও হয়েছে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে কম বিষয়ে ও কম নম্বরের ভিত্তিতে। কিন্তু এখন আবার সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে গত রোববার রাতে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ শিক্ষা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে না। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে সীমিত পরিসরে চলছে, সেভাবেই চলবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.