শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে প্রধান শিক্ষক পরিষদ (প্রশিপ)। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু।
প্রধান শিক্ষক পরিষদের ৯ দাবি
>>সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করে আগের মতো একই স্কেলভুক্ত করতে হবে। এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অনুরূপ ষষ্ঠ গ্রেডে ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের সপ্তম গ্রেডে বেতন দিতে হবে।
>>এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে হবে।
>>ঈদের আগে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দিতে হবে। সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের মতো বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দিতে আসন্ন বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।
>>শূন্যপদের বিপরীতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি ও প্রধান শিক্ষক এবং অন্য শিক্ষকদের পর্যাপ্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
>>সহকারী শিক্ষকদের ১২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকা সাপেক্ষে আগের মতো প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে। সাধারণ শিক্ষকদের মতো প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষদের দুটি উচ্চতর স্কেল দেওয়া ও প্রধান শিক্ষকদের পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা সাপেক্ষে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসেবে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখতে হবে।
>>দাখিল মাদরাসার স্তর পরিবর্তন করে আলিম মাদরাসায় উন্নীত হলে আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষরা পঞ্চম গ্রেডে বেতন পান। অনুরূপভাবে মাধ্যমিক বিদ্যালয় উচ্চমাধ্যমিকে উন্নীত হলে অধ্যক্ষদের পঞ্চম গ্রেডে বেতন পান। সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মাদরাসার মতো উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ হিসেবে পদোন্নতি দিতে হবে।
>>যোগ্যতার ভিত্তিতে মাউশি, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড, জেলা শিক্ষা অফিসসহ মাধ্যমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া।
>>এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে স্বীকৃতি ও কমিটি বন্ধ করা যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে অনেক আগে হাউজিং থেকে বরাদ্দকৃত জমি প্রতীকী মূল্যে দায়মুক্তির ব্যবস্থা নেওয়া।
>>কোনো শিক্ষককে ছয় মাসের বেশি সময় সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা যাবে না। এ মর্মে হাইকোর্টের রায় অনুসারে শিগগির সরকারি গেজেট প্রকাশ করতে হবে।