বাকৃবি প্রতিনিধি: বর্তমান সময়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, গ্রিণ হাউজ ইফেক্টের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এর ফলে কৃষি সেক্টরের হুমকি সম্বন্ধে ধারণা পেতে এবং কৃষকদের করণীয় বিষয়ে সচেতন করার জন্য এগ্রোমেটের পরামর্শের প্রয়োজন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জলবায়ু পরিবর্তন: কৃষিতে হুমকি এবং কৃষকদের জন্য এগ্রোমেটের পরামর্শের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নীতকরণ সেন্টারের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুইদ। বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে বাকৃবির এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ওই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. মুইদ আরও বলেন, ২১০০ সালে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে সমুদ্রের উচ্চতা ১ ফুট বৃদ্ধি পাবে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ফসলের মাঠে খরা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও পাহাড়ের ঢলে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় ফ্লাশ ফ্লাড দেখা দিচ্ছে। যার ফলে হাওড় অঞ্চল থেকে সঠিক সময়ে শস্য তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এ বি এম আরিফ হাসান খান রবিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাতেন, কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আলমগীর হোসেন, এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের প্রভাষক উম্মে সুমাইয়া শাম্মীসহ বাকৃবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীবৃন্দ।