ডেস্ক রিপোর্ট: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন ৩৫ প্রত্যাশীরা। যারা এক যুগ আগে ২০১২ সাল থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনে ছিলেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে জরুরি ভিত্তিতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
৩৫ প্রত্যাশীরা জানান, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ চেয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। এ অবস্থায় বর্তমান সরকার দাবিটি আমলে নিয়ে ৩৫ এর প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আজ সেই দীর্ঘদিনের দুঃখ মোছন করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা রেখেছিলাম। কিন্তু আজকে সিদ্ধান্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছে তুলেছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের চাকুরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বৎসর নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আওতাবহির্ভূত সব সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বৎসর নির্ধারিত হবে। স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ন্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা প্রয়োজনীয় অভিযোজন সাপেক্ষে প্রযোজ্য হবে। প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বহাল থাকবে।