The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

জবি শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলা

জবি প্রতিনিধি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় হামলা করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. রাকিব। তিনি সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামী করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় প্রথমবার ও সন্ধ্যা ৬ টার দিকে টিএসসিতে দ্বিতীয়বার হামলার ঘটনা ঘটে।

মামলার নথি অনুসারে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানজিম রহমান জয়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুস্তাফিজ হোসাইন মুছা, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিভাগীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মৃদুল হাসান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম শিকদার শিহাবসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ক্যাফেটেরিয়া খাওয়া শেষে মো. রাকিব টিস্যু নিতে গেলে মুস্তাফিজ হোসাইন মুছা তাকে সরে যেতে বলে। পরে রাকিব মুছার ব্যাচ জানতে চাইলে মুছা ব্যাচ জানায়। তখন রাকিব তাকে বলে যে সে তার সিনিয়র, সম্মান দিয়ে কথা বলতে। তখন মুছা রেগে গিয়ে রাকিবকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে মুছা তার কয়েকজন সহযোগীকে সাথে নিয়ে রাকিবকে মারধর করে।

পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে রাকিবকে টিএসসিতে ডেকে নিয়ে যায় মুছার বন্ধু সোহানুর রহমান সোহন’সহ অন্যরা। টিএসসি থেকে ফেরার পথে সোহান, জয়, মারুফ, মৃদুল, সিয়ামসহ অন্যান্যরা রাকিবকে আবারও মারধর করে।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী মো. রাকিব বলেন, ক্যান্টিনে টিস্যু নেওয়ার সময় মুছার সাথে আমার একটু কথা-কাটাকাটি হয়। আমি তখন্ব তাকে চিনতাম না। সে জুনিয়র জানার পর আমি তাকে বলি আমি তার সিনিয়র একটু সম্মান ফিয়ে কথা বলতে। তখন সে আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি ধাক্কা দেয়ার কারন জিজ্ঞাসা করলে সে তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে আমাকে মারতে শুরু করে। এরপর আমি প্রক্টর বরাবর অভিযোগ জানাই। তারপর সন্ধ্যার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বের হবার সময় তারা চা খাবে বলে আমাকে সাইডে যেতে বলে। আমি না গিয়ে আবার ক্যাম্পাসে ঢুকে যায়৷ পরে আমার বন্ধুর সাথে বের হবার সময় পুনরায় আমার উপর রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এবিষয়ে কোতোয়ালি থানায় আমি একটি মামলা করেছি।

এবিষয়ে মুস্তাফিজ হোসাইন মুছা বলেন, দুপুরের দিকে ক্যান্টিনে আমি খাবার নিতে গেলে ওই ভাইকে আমি খাবার নিবো বলে সাইড দিতে বলি। তিনি সাইড দিয়ে আমার ব্যাচ জিজ্ঞাসা করে। আমি তাকে ব্যাচ বললে তিনি আমাকে জোরে ধাক্কা দেয়। আমি ধাক্কা দেয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমাকে মারা শুরু করেন। আত্মরক্ষার্থে যেটুকু করার দরকার আমি সেটুকুই করেছি।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম আকতার হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে তবে ক্যাম্পাসের সুস্থ সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন যেন পদক্ষেপ নেয় আমরাও সেটাই চাই। সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপরাধ করা কোনো ব্যক্তির দায়ভার ছাত্রলীগ নিবেনা। সত্যিই যদি তারা অপরাধী হয় তাহলে সাংগঠনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি৷ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সিসিটিভি ফুটেজের জন্য আবেদন করেছিলো। আমি আইটি ডিরেক্টর বরাবর লিখে দিয়েছি। রবিবার সেটা পাওয়া যাবে। এরপর ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী মামলা করেছে৷ আমরা শীঘ্রই ব্যবস্থা নিবো।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.