জবি প্রতিনিধি: মোটরসাইকেলের হর্ন না শোনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের এক সহসভাপতির বিরুদ্ধে। তবে এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি অভিযুক্ত পরাগ হোসেনের।
বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মিনহাজুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সময় পেছন থেকে মোটরসাইকেলের হর্ন দেন জবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পরাগ হোসেন। হর্ন শুনতে না পাওয়ায় তাকে ডেকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং গালিগালাজ করেন পরাগ। এরপর সবার সামনে ক্ষমা চাইতে বলে। সে ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানানোয় আবার চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মেরে ভুক্তভোগীকে শারীরিকভাবে আহত করেন অভিযুক্ত ওই নেতা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমি কিছু না করার পরও কেন আমাকে অন্যায়ভাবে চড়-থাপ্পড় মারলো জানি না। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
তবে এঘটনাকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছেন অভিযুক্ত পরাগ হোসেন। শাখা ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতারা রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা সাজিয়েছে বলে অভিযোগ তার। তিনি বলেন, ‘ আমার একজন ছোট ভাইয়ের সাথে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। পরবর্তীতে বড় ভাই হিসেবে তাকে আমি আপনও করে নিয়েছি। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য এবং পরিকল্পিতভাবে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য এটি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।’
এবিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, তার বিরুদ্ধে যেহেতু প্রক্টর স্যারের নিকট অভিযোগ গেছে। নিয়ম অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত হবে, তদন্তে দোষী প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তাফা কামাল বলেন, ‘আমি অভিযোগ গ্রহণ করেছি। আগামীকাল বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপাচার্যের কাছে অভিযোগ দেয়ার জন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বলা হয়েছে।’