জবি সংবাদদাতাঃ সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নফাঁস, টেন্ডার বানিজ্য ও চাঁদাবাজিসহ নানা ঘটনা সামনে আসার পর মেয়াদোউত্তীর্ণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তদন্তে নামলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। কমিটির সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী। এ কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এদিকে জবি ছাত্রলীগের প্রশ্ন ফাস ও টেন্ডার বানিজ্যের চলমান ইসুতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, যেহেতু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি জেনেছে সেহেতু খোঁজ খবর নিয়ে তারা ব্যবস্থা নিবে। অভিযোগ আসলেই হবে না তার সত্যতা যাচাই করতে হবে। সত্যতা থাকলে ছাত্রলীগের যেই নেতাই করেছে বা যে করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হয় বা হবে।
তিনি আরো বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় কোনো দল বা সংগঠন নেয় না। যদি কোনো অপরাধ হয় এটা তার দায়। টেন্ডার বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কোন নেতা কখনোই টেন্ডার বানিজ্যের সাথে যুক্ত থাকতে পারে না। ছাত্রলীগ ছাত্র রাজনীতি করবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাজনীতি করবে।
এরআগে মেয়াদোত্তীর্ণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে মেসেন্জারে মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল টেন্ডার সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের নিয়ন্ত্রণে রাখা, সদরঘাট এলাকায় সুমনা হাসপাতালে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ দেখা যায়। গণমাধ্যমে এসব অভিযোগে আলোচনায় রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ২০২২ সালে জবি শাখা ছাত্রলীগের এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। মেয়াদ শেষ দেড় বছর আগেই। এ কমিটি বিলুপ্তসহ নতুন কমিটি করে গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটকে সচলের দাবি করেন পদপ্রার্থীরা।