জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক কর্মচারীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী কর্মচারীর নাম ইব্রাহীম শেখ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অফিস সহায়ক এবং কর্মচারী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এঘটনায় অভিযুক্ত এক হকারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মো. শাহিন নামের এক হকারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আহত ওই কর্মচারীকে চিকিৎসার জন্য মিডফোর্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকে ফুটপাতের এক দোকানের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইব্রাহীম শেখ নামের কর্মচারীকে মারধর করতে দেখে দৌঁড়ে যান তারা। মারধররত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে আনেন। পরে অভিযুক্ত মো. শাহিন নামের ওই হকারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী ইব্রাহীম শেখ জানান, আমি তিনদিন আগে ফুটপাতের ওই দোকান থেকে একটি গ্যাসের চুলার লাইটার কিনেছিলাম। কিন্তু বাসায় যাওয়ার পর দেখি সেটা নষ্ট। পরে সেদিনই ফেরত নিয়ে এসে পরিবর্তন করে দিতে বলি। কিন্তু তার কাছে আর কোনো লাইটার না থাকায় সেটা দিতে পারেনি। টাকা ফেরত চাইলে পরে দিবে বলে জানায়। পরে আমি অন্য দোকান থেকে আরেকটি লাইটার কিনে আনি। তিন দিনে তিনবার পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলেও ফেরত দেয়নি। আজ বিকেলে ফেরত চাইতে গেলে সে প্রথমে লাঠি নিয়ে আমার ওপর হামলা করে মারধর করে। পরে আমি প্রতিহত করতে গেলে সে দোকানে থাকা বটি নিয়ে আমার ওপর বারবার হামলা করে। আমি কোনোক্রমে প্রাণে বেঁচে যাই। পরে আমার সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল জানান, ‘আমাদের এক কর্মচারীকে মো. শাহিন নামের এক হকার মারধর করেছে। আহত কর্মচারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকে করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই হাসান মাতুব্বর জানান, ‘ঘটনাটি সূত্রাপুর থানার আওতাধীন হওয়ায় আমরা অভিযক্তকে আটক করে সূত্রাপুর থানায় পাঠিয়েছি। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।’