জবি প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘প্রজন্ম’ পরিবারের ষোলতম স্বাগত সম্ভাষণ”২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। “প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের তরে আমরা প্রজন্মিয়ান” এই স্লোগানে রাজধানীর খিলগাঁও থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বহন করা ‘প্রজন্ম’ বাসের এই স্বাগত সম্ভাষণ অনুষ্ঠিত হয়।
জাঁকজমকভাবে বৌদ্ধ মন্দিরের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো প্রজন্ম পরিবারের ষোলতম স্বাগত সম্ভাষণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ সম্পাদক ও প্রজন্ম পরিবারের প্রধান সমন্বয়ক মাসুদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রজন্ম পরিবারের আজীবন উপদেষ্টা তৌফিক রহমান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ফয়সাল আহমেদ।
আরও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রভাষক মাহমুদা আমির ইভা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও প্রজন্ম বাসের যাত্রী ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রজন্ম পরিবারের সভাপতি রেদোয়ান হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রজন্য পরিবারের সাধারণ সম্পাদক ও গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিরাজ অভি।
সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মাধ্যমে প্রজন্ম পরিবারের নবীনবরণ আয়োজন করা হয়। নাচ, গান, কবিতা, আবৃত্তি সহ নানা আয়োজন ছিলো এই অনুষ্ঠানে। জাকজমকপূর্ণভাবে এই বাসের নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়। এসময় সবাইকে প্রজন্ম বাসের ছবি ও নাম সংবলিত চাবির রিং উপহার দেয়া হয়।
এসময় সভাপতি রেদোয়ান হোসেন বলেন, একটা অনুষ্ঠান হয়েছে, জুনিয়ররা আনন্দ করেছে, পারফর্ম করেছে, সিনিয়র জুনিয়র একসাথে নাচানাচি করেছে, আমরা তাদের বরণ করে নিয়েছি, আদর করেছি করবও, আবার শাসনও করব, আবার একসাথে আড্ডায় মেতে উঠবো। একটি পরিবারে এমনটাই হওয়া উচিত। আমাদের প্রজন্ম পরিবারে তাই হয়ে আসছে। আশা রাখছি ভবিষ্যতেও তাই হবে।
অনুষ্ঠান শেষে অভিরাজ অভি বলেন, ধন্যবাদ প্রজন্ম পরিবার! নিরন্তর ভালোবাসা তোমাদের জন্য। যা পেয়েছি তা অনেক, যা হারিয়েছি তা হয়ত হারানোরই ছিলো। স্বাগত সম্ভাষণ”২২ প্রোগ্রামের ভিত্তিতে আমরা আমাদের ৩.৫ বছরের কমিটিতে স্নেহের ১৪তম ব্যাচের সকলকে কার্যনির্বাহী সদস্য বানিয়ে বিলুপ্ত ঘোষণা করে দিলাম। সেই সাথে অভিনন্দন জানাচ্ছি নতুন কমিটিকে।
তিনি আরও বলেন, ধন্যবাদ সুইট সিক্সটিন। এভাবেই এই “প্রজন্ম” পরিবারকে তোমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই প্রোগ্রাম সফলের পিছনে যাদের নিরলস পরিশ্রম করত তাদের ও ধন্যবাদ জানাই।