সাকিবুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সমাজকর্ম বিভাগের ১৫তম আবর্তনের আয়োজনে এবং সমাজকর্ম সমিতির সার্বিক সহযোগিতায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতা র্যালি ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে র্যালিটির উদ্বোধন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সামনে থেকে র্যালিটি শহীদ মিনার হয়ে বিজ্ঞান অনুষদ দিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সমাজকর্ম বিভাগের সামনে এসে সম্পন্ন হয়। র্যালি শেষে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সংক্রান্ত সচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়।
পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে এসে যুবক আটক
এরপর সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ক্যাম্পাস পরিষ্কার করা হয়। মশা নিধনের লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার পাশাপাশি মশার প্রজননক্ষেত্রে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করে।
এসময় সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাজিনা সুলতানা, অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, সমাজকর্ম সমিতির মডারেটর মুহাঃ শহীদুল হক, সহকারী অধ্যাপক মিফতাহুল বারী, আনোয়ার হোসেন, হ্যাপি কবির এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা ডেঙ্গুর ভয়াবহতা তুলে ধরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আতঙ্ক নয়, সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। একইসাথে ডেঙ্গু মশার কামড় থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য বাসা-বাড়ি, কর্মস্থলের আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, ফুলের টব, ডাবের খোসা-টায়ার, কিংবা পরিত্যক্ত পাত্রে জমে থাকা পানি নিয়মিত ফেলে দেওয়া, দিনে-রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর বার্তা দেন। জ্বর হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেন।
সহকারী অধ্যাপক মুহাঃ শহীদুল হক বলেন, আজকে আমাদের এই কর্মকান্ডের মাধ্যমে আমরা নিজেরা সচেতন হয়ছি এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তাদের দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। তবে আমাদের শিক্ষার্থীরা চিপস বা চকলেট খেলে অনেক সময় প্যাকেটটা যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছে। এমন ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারলে এই মহামারিকে রোধ করা সম্ভব।
দুধের ল্যাকটোজ মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকোষ বর্ধনে সহায়তা করে
অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, র্যালি দিয়েও আমাদের মাঝে পরিবর্তন আনা সম্ভব। হয়ত আমরা সবাইকে পরিবর্তন করতে পারবো না কিন্তু কিছু মানুষকে পরিবর্তন করতে পারলে সেটিই আমাদের স্বার্থকতা। আর সারা দেশ পরিচ্ছন্ন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না, কিন্তু যার যার আঙ্গিনা আমরা চাইলে খুব সহজভাবে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি। তাই আমরা প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে।
অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ডেঙ্গু এদেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা থেকে বের হতে হলে আমাদের সচেতন হতে হবে। পরিচ্ছন্নতা এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে যার যে দায়িত্ব রয়েছে সেটা পালন করতে হবে। একমাত্র সরকারের সদিচ্ছা এবং আমাদের সহযোগিতা পারে ডেঙ্গুকে প্রতিরোধ করতে।