জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৩-২৪শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পছন্দের তালিকায় রেখেছিল তাদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজধানীর ৫টি কেন্দ্রে আসন বিন্যাস করা হয়েছে।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ইউনিটে পরীক্ষার জন্য মোট আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। । এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে। এই ইউনিটে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছেন।
পরীক্ষার সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সব ধরনের জালিয়াতি রোধে আমাদের সর্বোচ্চ নজরদারি রয়েছে। আমাদের এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।
আগামী ৩ মে মানবিক বিভাগ (বি) ও ১০ মে বাণিজ্য বিভাগের (সি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার প্রথম ধাপে পরীক্ষার্থীরা জবি কেন্দ্রে পৌঁছাতে যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুরান ঢাকার জনবহুল এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হওয়ায় এর সামনের রাস্তায় যানজট লেগে থাকে নিয়মিতই। গুলিস্তান থেকে সদরঘাট রোডে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় কেন্দ্রে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে সদরঘাট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। গণপরিবহনের বাসগুলোকে রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত চলাচলের নির্দেশ দেয়া হলেও মানেনি তারা। চলছে সদরঘাট পর্যন্ত। এতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরাও হিমশিম খাচ্ছেন যানজট নিরসনে। অনেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর পরও কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
পরীক্ষা দিতে আসা আজাদ বলেন, ‘মিরপুর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত আসতে আমার প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে। গুলিস্তান থেকে জবিতে আসতে আরও ১ ঘণ্টা, রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। সকাল সাড়ে ৭টায় বাসা থেকে বের হয়েছি, মাত্র পৌঁছালাম। যানজট নিরসনে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে আমাদের ভোগান্তি কম হতো।’ আরেক পরীক্ষার্থী রায়হান বলেন, ‘পরীক্ষাটা শুক্রবারে হলে ভালো হতো। রাস্তায় এখন প্রচুর যানজট। উত্তরা থেকে পুরান ঢাকা আসতে আসতেই প্রায় অসুস্থ হয়ে গেছি। এতটা সময় তীব্র যানজটে বাসে আসা অনেক ভোগান্তির।’
যানজটের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘সমাধানের জন্য আমি আবারও দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে কথা বলেছি।’ আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে যানজট ক্লিয়ার করতে। আগে যানজট ছিলো এখন আর নেই।
এ ছাড়া রাজধানীর অন্যান্য কেন্দ্রে আসন হলেও যারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে এসেছে তারা বিশেষ ব্যবস্থায় এই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পেরেছে। তাছাড়া গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আইটিসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানে কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে।
সাকিবুল ইসলাম/