যার মাধ্যমে প্রথম পৃথিবীর আলো আমরা দেখতে পাই, ভূমিষ্ঠ হবার পর যিনি আমাদের মন উজাড় করে আগলে রাখেন, যিনি শত কষ্ট বেদনা ভুলে গিয়ে আমাদেরকে তিলে তিলে গড়ে তোলেন, আমাদের জন্য যার ভালোবাসা নিঃস্বার্থ- তিনি হলেন আমাদের মা। আজ ‘বিশ্ব মা দিবস’ এ হৃদয়ের কোণে মায়ের জন্য লুকিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের অনুভূতি তুলে ধরেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুনায়েদ মাসুদ।
বছরের প্রতিটা দিনই হোক মা দিবস
মা ‘শব্দটির মধ্যে আছে এক অদ্ভুত পরিতৃপ্তি ; এক অনাবিল শান্তি । আমাদের ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু মা সেই একই রকম রয়ে গেছে। মা এখনো আমাদের দুই বোনকে শক্ত করে আগলে রেখেছে। একটা মোটামুটি ভালো পজিশনে নিয়ে গিয়েছে। এজন্য ‘মা’ কে নানারকম লড়াই করতে হয়েছে। আমার মা একজন সফল মা।মা। এমন একটি মধুর শব্দ যা পৃথিবীর অন্য কিছুতেই নেই। একজন মা একটি বটবৃক্ষ। জীবনের কঠিন সব দিনগুলোতেও অবলীলায় যাতনা মেনে নিয়ে ছায়ার মতই পাশে থাকেন সবসময়। মাকে ভালোবাসতে বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না। তবুও মা দিবস আরও একবার মায়ের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশের এক অন্যতম মুহূর্ত।
তুবা তাবাসসুম তালহা
কৃতজ্ঞতা আমার মাকে
আমার বয়স একুশের কিছু বেশি হবে। স্বপ্নের ডানা মেলে উড়তে শিখেছি অনেকদিন হলো। হাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে বড় হচ্ছি তাও ছোট রয়ে গেছি একটি মানুষের কাছে। সে আর কেউ নয় আমার মা। মা শব্দটি অনেক মধুর,তাই না? মায়ের কোলের উষ্ণতা পৃথিবীর যাবতীয় শীতলতা থেকে দূরে রাখে আমাকে। সত্যই মা হওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ যে কাজের কোনো সাপ্তাহিক ছুটি নেই।
মায়ের ভালোবাসাকে নিখাদ সোনা বললে অত্যুক্তি হবে না।মা মানেই মমতার বাধন। মা মানেই সন্তানের দুঃখনিবারণ। মায়েদের প্রতি সম্মানে পালিত হয় মা দিবস।আজকের এই বিশেষ দিনে আমার মা সহ পৃথিবীর সকল মাকে জানাই শুভেচ্ছা ও বিনম্র শ্রদ্ধা।
আমার স্বপ্নের অট্টালিকা নির্মাণে বিশ্বস্ত সহযোগী হচ্ছো তুমি মা। তোমার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ভালো
স্পর্শ বনিক
মা আমার অনুপ্রেরণার উৎস
আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন, “যার মা আছে, সে কখনোই গরিব নয়”। ‘মা’ শব্দটি ছোট্ট হলেও, তিনি সীমার মাঝে অসীম। সাগরের তলদেশের গভীরতা মাপা গেলেও মায়ের ভালোবাসা, স্নেহ, মায়া, মমতা মাপা যায় না। মা তার সন্তানকে তার সকল ভালোবাসা দিয়ে লালন পালন করে, বড় করে। জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তে কেউ পাশে না থাকলেও, সর্বদা পাশে ছিলেন মা। সকল উত্থান-পতনে যখন পুরো সমাজ সমালোচনায় ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়ে মাকে পাশে পেয়েছি,যে কিনা প্রতিনিয়তই সাহস অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। জন্মদাত্রী মা যার কল্যাণে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখে সন্তান। সেই মায়ের স্মরণে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ‘বিশ্ব মা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। যদিও মাকে ভালোবাসা-শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণ লাগে না, তবুও মাকে গভীর মমতায় বিশেষভাবে স্মরণ করার দিনে শুধু এতটুকু কামনা পৃথিবীর সব মা যেন তার সন্তানের সঙ্গে সুখে-শান্তিতে থাকেন। কোনো মায়ের স্থান যেন আর বৃদ্ধাশ্রমে না হয়। মা দিবসে সব মায়েদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি।
সোহানা চৌধুরী
নিঃস্বার্থ ভালোবাসার অপর নাম “মা”
মা শব্দটির সাথে জড়িয়ে আছে এক অমলিন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। জন্মের পর থেকেই নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে কতোই না আদর যত্ন স্নেহ ভালোবাসায় মা আমাকে বড় করেছেন।কখনো নিজের কথা না ভেবে শুধুমাত্র আমার আমার সুস্বাস্থ্য এবং সফলতার মধ্যেই নিজের সব আনন্দ টুকু খুঁজে নিতে চেয়েছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সুভাদে মায়ের কাছ থেকে অনেক দূরে থাকলেও মন টা ঠিকই মায়ের কাছেই পড়ে থাকে।কিন্তু এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মানুষটিকে কখনো মুখ ফুটে বলতে পারিনি মা তোমাকে আমি কতটা ভালোবাসি।আমার সকল ভালোবাসার জায়গা জুড়ে শুধু তুমিই আছো মা।তুমি আমার জীবনের পৃথিবীর সব থেকে বড় শিক্ষিকা এবং পৃথিবীর অন্যতম সেরা মানুষটি।তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি আম্মু। মহান আল্লাহ তোমাকে সুস্থতা এবং তোমার মনের সকল আশা পূরন করুন।
মোঃ তরিকুল ইসলাম লিখন
আমার প্রতিটি দিনই ‘মা দিবস’
“মা” সৃষ্টিকর্তার এক অনন্য অবতার। মা সারাজীবন ছায়ার মত থেকে জীবনকে কত সহজ করে তুলেন। কি যেনো এক অলৌকিক ক্ষমতার দ্বারা বুঝে যান আমি সুস্থ্য নেই, কিংবা আমি ভালো নেই, মুখে কোনো কথা বলার আগেই মনের সব কথা তিনি উপলব্ধি করতে পারেন। স্কুল জীবন পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আসলেও সারাদিনের সব কথা মাকে না বললে মনের মধ্যে এক অশান্তি কাজ করে। জ্বর এলে বা পরীক্ষা হলে সারারাত জেগে থাকেন এমন ত্যাগ, অকৃত্রিম ভালোবাসা মা ছাড়া কে বাসবে আমায়। আজ বিশ্ব “মা” দিবস। পৃথিবীর সকল মা কে জানাই মা দিবসের অনেক শুভেচ্ছা। কিন্তু আমার কাছে প্রতিটি দিনই মায়ের দিন। মায়ের ঋণ শোধ করা কখনোই সম্ভব না। মা সারাজীবন আমাদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাই আমাদের সকলের উচিত মাকে সম্মান করা এবং মায়ের যত্ন নেওয়া।
জয়া পালিত
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী শব্দ “মা”
“মা” শব্দটি প্রথমে শুনলে আমাদের মনে এমন এক নারীর ছবি ভেসে উঠে যে নারী তার সন্তানের জন্য একজন যোদ্ধা, বন্ধু ও সবথেকে কাছের মানুষ। মা নিঃশর্ত ভালবাসাকে মূর্ত করে তোলে, তার উষ্ণতা জীবনের ঝড়ের একটি আশ্রয়স্থল। কোমল হাত এবং মমতায় উপচে পড়া হৃদয় দিয়ে, তিনি লালন-পালন করেন, নির্দেশনা দেন ও অনুপ্রাণিত করেন। তার প্রজ্ঞা, অগণিত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নকল, আলোর বাতিঘর, আলোকিত পথ এবং মূল্যবোধের উদ্দীপনা হিসাবে কাজ করে। তার ত্যাগের মাধ্যমে, তিনি নিঃস্বার্থতা এবং স্থিতিস্থাপকতার গভীর অর্থ শেখান, সময় এবং দূরত্ব অতিক্রম করে এমন বন্ধন তৈরি করে। মায়ের আলিঙ্গন সান্ত্বনার আশ্রয়স্থল, যেখানে ভয় প্রশমিত হয় এবং স্বপ্ন উড়ে যায়। তার হাসি আনন্দের সাথে প্রতিধ্বনিত হয়, বাড়িগুলিকে সম্প্রীতি এবং আনন্দে উদ্বুদ্ধ করে। তার উপস্থিতিতে, আমরা শক্তি, সান্ত্বনা এবং অটল সমর্থন পাই। একটি মায়ের ভালবাসা, করুণা এবং সৌন্দর্যের একটি চিরন্তন সিম্ফনি, আমাদের হৃদয়ের ট্যাপেস্ট্রিতে চিরকালের জন্য খোদিত।
মাইনুল ইসলাম অমি