ঢাকার কেরাণীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের জন্য বাকি ১১ একর জমি দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে প্রস্তাবিত ২০০ একর জমি পেল বিশ্ববিদ্যালয়টি। এখন অধিগ্রহণসহ বাকি কাজ শেষ হলে নতুন ক্যাম্পাস দ্রুত নির্মাণ সম্ভব হবে বলে আশা প্রশাসনের। এর আগে ১৮৮.৬০ একর অধিগ্রহণের মাধ্যমে জমি বুঝে পায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ‘কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির এক সভা হয়। সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় আমাদের প্রস্তাবিত ২০০ একরের ক্যাম্পাসের জন্য বাকি ১১.৪০ একর জমি পাশ করা হয়।
কোন দিক থেকে জমি নেয়া হবে জানতে চাইলে প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন বলেন, পদ্মা রেল প্রকল্পের পাশে ক্যাম্পাসের ভিতর মালিকানা জমি ছিল। সেটা নেওয়া হবে। এছাড়া মুজাহিদনগরের পাশে অবস্থিত জমি নেওয়া হবে। এর জন্য সার্ভে করা হবে। জুনের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে জমি অধিগ্রহণ করার জন্য আমি জেলা প্রশাসনকে বলেছি।
২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে পুরান ঢাকার সদরঘাটে জগন্নাথ কলেজ ক্যাম্পাসে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এরপর ক্যাম্পাসের জায়গা স্বল্পতা ও হল আন্দোলনের মুখে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গরূপে আধুনিক নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের ঘোষণা দেন।
এরপর ২০১৭ সালে একনেক সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ একরের নতুন ক্যাম্পাসের অনুমোদন পায়। তবে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ১৮৮ দশমিক ৬০ একর জমি বুঝিয়ে দেয় ঢাকার জেলা প্রশাসন। হস্তান্তর বাকি ছিল ১১ দশমিক ৪০ একর জমি।
এদিকে, অধিগ্রহণ অসম্পূর্ণ থাকায় দীর্ঘদিন থমকে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরসহ নানা উন্নয়ন কাজ। এবার সব কাজ দ্রুত শেষ হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।