পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পাবনার শহীদ পরিবার এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শহীদ পরিবারের সচ্ছলতা এবং আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত এবং আহতদের স্মরণে আয়োজিত ‘স্মরণ সভায়’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ শহীদ পরিবার, ৪ আহত শিক্ষার্থী এবং ১ আহত দিনমজুরের হাতে তিন লক্ষ দশ হাজার টাকার চেক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাভারে শহীদ হওয়া পাবনার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী শহীদ জুলকার নাইনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার পিতা আবদুল হাই আল হাদি চেক গ্রহণ করেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আন্দোলনে অংশ নেওয়া পাবনা সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ট্রাক চালক শহীদ জাহাঙ্গীরের হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার স্ত্রী মজিলা খাতুন চেক গ্রহণ করেন, ঢাকার কাফরুলে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা বিমান বাহিনীর এম ই এস পাবনার সাথিয়ার শহীদ আবদুল হান্নানের পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছেলের কাছে চেক হস্তান্তর করা হয়।
আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগের সানোয়ার হোসেন সনি, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের তুষার ইমরান ইতিহাস বিভাগের মাসুম বিল্লাহ এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আতাউল্লাহ জুবায়ের চেক গ্রহণ করেন।
এছাড়াও ঢাকায় আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হওয়া পাবনার চর বলরামপুরের অটো চালক আরাফাতকে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা কিনে দেওয়ার জন্য চেক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল-আওয়াল বলেন, ‘জাতি দীর্ঘদিন একটি শোষণের জাতাকলে বন্ধি ছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থ্যানের মধ্য দিয়ে সেই শোষণের জাতাকল থেকে মুক্তি পেয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ এবং আহত হয়েছেন তাদের আত্মত্যাগ আমরা কখনোই ভুলবোনা। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এই শহীদ পরিবার এবং আহতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এই সহায়তা ওদের আত্মত্যাগের কাছে কিছুই না কিন্তু তারা যাতে একটু সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে আমরা সেই চেষ্টাটুকু করেছি।’
এ সময় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, আহত সদস্যবৃন্দ, আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব সিজান এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রোজিনা খাতুন।