The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

ছাত্রলীগ সম্পাদকের প্লেটে পঁচা মাংস, রেস্তোরা বন্ধ করল প্রশাসন

ইবি প্রতিনিধি: ক্যাম্পাসের ভিতরে দোকান থাকলেও রান্না হতো বাহিরে। বাহিরের সেই কিচেন থেকে প্রতিদিন বিরিয়ানি, খিচুড়ি রান্না করে এনে বিক্রি করা হতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিয়া মোরে অবস্থিত ঢাকা বিরিয়ানী হাউজে। তবে না বিক্রি হওয়া মুরগীর মাংস ও রাইস পরদিন গরম করে আবারো শিক্ষার্থীদের খাওয়াতেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে রেস্তোরাটির বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৫ই মে) সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড়ে অবস্থিত ঢাকা বিরিয়ানী হাউজে পঁচা খাবার পাওয়ার অভিযোগে দোকানটি প্রক্টোরিয়াল বডির উপস্থিতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় প্রক্টোরিয়াল বডির মধ্যে সহকারী প্রক্টর ড. মো: আমজাদ হোসেন, মো: ইয়ামিন মাসুম, মো: নাসির মিয়া ও নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঐ দোকানটিতে দুপুর খাবার খেতে বসেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়। খাবারের মেন্যুতে ছিল মোরগ-পোলাও। এতে থাকা রোস্টটি বাসি বলে অভিযোগ তার। পরে দোকান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি শিকার করে নিয়ে বলেন বাবুর্চি ভুল করে দিয়ে দিয়েছেন। এতে বেশ ক্ষুব্ধ সম্পাদক এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন। তবে এর আগেও পঁচা বাসি খাবার দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জয় বলেন, এই দোকান থেকে ক্যাম্পাসের প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইহাজার শিক্ষার্থী খাবার নিচ্ছে। তাদের সবার সাথে কিন্তু অন্যায় টা হচ্ছে। এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা খাওয়া-দাওয়া করে এ অন্যায়টুকু মেনে নিয়ে চলে যায়। কিন্তু আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে প্রতিবাদ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমি চাই সাংবাদিক, সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি এবং প্রশাসন মহোদয় সহ এ বিষয়ে বসে সবার সামনে কথা দিবে যে, আমরা শিক্ষার্থীদের ভালো খাবার খাওয়াবো, শিক্ষার্থীদের ঠকাবনা। তারপর তাদের ব্যবসায় চলমান রাখবে।

ঘটনাস্থলে থাকা জাকারিয়া নামের এক সাধারণ শিক্ষার্থী বলেন, দোকানটি ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রথম বিরিয়ানির দোকান। প্রথম দিকে খাবারের মান ভালো থাকায় এবং দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় অনেকেই এখানে ভীড় করতো তবে ধীরে ধীরেই খাবারের মান কমতে থাকে শিক্ষার্থীও আসা কমে যায়। এরপর অতিরিক্ত লাভের আশায় তারা হয়তো পঁচা তরকারি পুনরায় বিক্রি করতো

এবিষয়ে দোকানে থাকা কর্মচারী বাবুর্চির উপর কিছুটা দোষ চাপিয়ে বলেন, একজন শিক্ষার্থী খাবার খেতে আসলে তার প্লেটে যে খাবারটা দেওয়া হয়েছিল ওই খাবারে একটু সমস্যা ছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে আমি জানতাম না। এদিকে বাবুর্চি হয়তো আগের খাবারের সাথে নতুন খাবার মিক্স করে দিয়েছিল। বাবুর্চি যদি ভুল করে দোকানের কর্মচারী হিসেবে এতে আমার কিছু করার থাকে না।

সার্বিক বিষয়ে সহকারী সহকারী প্রক্টর মোঃ ইয়ামিন মাসুম বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে খারাপ খাবারের বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা সাময়িক সময়ের জন্য দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছি। পরবর্তীতে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.