মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে সভাপতি মনোনীত হয়েছেন সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
কে এই সাদ্দাম হোসেন :
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া সাদ্দাম হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করেন। বর্তমানে তিনি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
তার বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায়। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
তিনি এর আগে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ডাকসুতে এজিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডাকসুতে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এর আগে তিনি স্যার এ এফ রহমান হলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মননশীল ও সৃজনশীল ছাত্রনেতা, শিক্ষার্থীবান্ধব আচরণ, আপসহীন, বাকপটু, সুবক্তা ইত্যাদি নানা কারণে সাদ্দাম হোসেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের পূর্বে সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিল সাদ্দাম হোসেন।
কে এই শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান :
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
তার বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলায়। বাবার নাম শেখ আবদুর রব এবং মায়ের নাম হাসিনা বেগম। বরিশাল জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন ইনান।
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ছাত্রলীগের বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এর আগে তিনি বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে হল ছাত্রলীগকে সু-সংগঠিত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্যও কাজ করেন এই ছাত্রনেতা। ক্যাম্পাসে ক্লিন ইমেজের ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন তিনি।
গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। এর আগে ২ ডিসেম্বর একই স্থানে সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার বার্ষিক সম্মেলন হয়। তার আগের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন।