পাবিপ্রবি সংবাদদাতাঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গত ১৩ আগস্ট প্রভোস্টদের উপস্থিতিতে হলের বিভিন্ন কক্ষে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর এসব অস্ত্র হল প্রভোস্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হল প্রভোস্টের কাছে অস্ত্র হস্তান্তর করার সময় হল প্রভোস্ট যে সকল ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর কক্ষে অস্ত্র পাওয়া গেছে নতুন প্রক্টর নিয়োগ দেওয়া হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
তবে এই ঘটনার ২ মাস এবং প্রক্টর নিয়োগ দেওয়ার ১ মাস হয়ে গেলেও এই বিষয়ে এখনো কোন পদক্ষেপ নেননি হল প্রশাসন। হল প্রশাসনের এমন ভূমিকাতে ক্ষোভ এবং বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, হল প্রশাসনের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন রুমে অস্ত্র ও মাদক পাওয়ার পরেও এখনো কোন আইনি ব্যবস্থা না নেওয়া বিস্ময়কর। যেসকল নেতা-কর্মীদের রুমে অস্ত্র ও মাদক পাওয়া গেছে তাদের অনেকে এখনো হলে অবস্থান করছেন। তারা অপরাধ করেও নিরপরাধীর মত ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সময় ও সুযোগ হলে এরাই যে কোন সময় অপরাধ সংঘঠিত করতে পারে। আবার এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামীদিনে অন্যরাও হলে অস্ত্র ও মাদক রাখার সাহস পাবেন। সে কারণে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনুনাগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেসকল কক্ষে অস্ত্র এবং মাদক পাওয়া গেছে তাদের বিচার যদি না হয় তাহলে আবার হলের রুমে অস্ত্র, মাদক রাখার সংস্কৃতি তৈরী হবে। ফলে আমরা আবার পূর্বের সময়ে ফিরে যাবো। যেহেতু নতুন একটি দেশ আমরা পেয়েছি তাই আমরা পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চাইনা। তাই আমাদের আবেদন থাকবে হল প্রশাসন যেন এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।’
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সে সময় অস্ত্র পাওয়া গেছে সে সময় হল প্রভোস্ট আমাদের জানিয়েছেন নতুন প্রক্টর নিয়োগ দিলে এসব অস্ত্রের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রক্টর নিয়োগের যেহেতু এক মাস হয়ে গেছে তাই হল প্রশাসনের উচিত এই অস্ত্রের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।’
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট ড. আমীরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আজকেই অস্ত্র ও মাদক যাদের কক্ষে পাওয়া গেছে এগুলোর কাগজপত্র প্রস্তুত করার নির্দেশনা দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহযোগিতা করলে আশা করি এই সপ্তাহের ভেতরে অস্ত্র ও মাদকের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবো।’