ক্যাম্পাস প্রতিনিধিঃ রৌদ্রস্নাত অপরূপ সকালে মধুমাস জৈষ্ঠ্যের স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থল এবং ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে ২০ মে, ২০২৩ সালে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁবিপ্রবি) এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলোজি বিভাগ এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে। চাঁবিপ্রবি ৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে, দুইটা ব্যাচে চাঁবিপ্রবির শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮০ জন।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় উন্নত বিশ্বের সাথে সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও আধুনিক জ্ঞানচর্চা, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব প্রদানসহ, মানসম্মত গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ হাতে নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৬/২০২০ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ সালে অনুমোদিত হয়।করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষা শুরুর কার্যক্রম কিছুটা সময় সাপেক্ষ হলেও, একাডেমিক কার্যক্রম চালুর মধ্য দিয়ে চাঁদপুর তথা বাংলাদেশে শিক্ষা ও গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শিক্ষার্থীদের কঠোর অধ্যবসায় এবং মননশীল গবেষণার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে দূর থেকে বহুদূর। আশা করি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মো: বাইজীদ আহম্মেদ রনি বলেন “অনেক বাঁধা পেরিয়ে গত বছর এই দিন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গত এক বছর ধরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি সমৃদ্ধ হচ্ছে।সকলের সহযোগীতায় সামনের দিনগুলো আরো সুন্দর হবে। আমার বিশ্বাস চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বে একদিন প্রতিনিধিত্ব করবে।
তথ্য ও যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী অবনী খন্দকার বলেন, আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা নিয়মিত হয় এবং আমরা পর্যাপ্ত ল্যাবরেটরি সুযোগ-সুবিধা পাই। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ক্লাস ও ল্যাবের যে সকল সুযোগ-সুবিধা আমরা পাই।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান নিয়ামুল বলেন, চাঁবিপ্রবির লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ সহ বিভিন্ন ধরণের বই আছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমরা যে সকল সুযোগ-সুবিধা পায়, যা কল্পনাতীত। স্থায়ী ক্যাম্পাসের সমাধান দ্রুত হলে, আশা করি চাঁবিপ্রবি অনন্য মাত্রায় চলে যাবে।