২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এবার বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত বিদেশি উপকরণসহ কসমেটিকস আমদানিতে রেগুলেটরি ডিউটি (শুল্ক কর) বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে এসব পণ্যে ৩ শতাংশ শুল্ক হার নির্ধারিত রয়েছে। আগামী অর্থবছর থেকে এই কর বাড়িয়ে ২০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে বলায় চলে আগামী অর্থবছরে এসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (০১ জুন) মহান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেন। অর্থমন্ত্রীর দেওয়া এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’।
দেশীয় বাজারে বিদেশি কসমেটিকস ও প্রসাধনী জাতীয় পণ্যের দাম দেশী পণ্যের তুলনায় বেশি। দেশে বিদেশি পণ্যের চাহিদাকে পুজি করে অধিকাংশ সময়ই লাগেজ পার্টির মাধ্যমে কিংবা অবৈধ উপায়ে বিদেশি কসমেটিকস আমদানির অভিযোগ আছে। এবারের বাজেটে বিয়ের উপকরণসহ কসমেটিকস আমদানিতে শুল্ক ৩ থেকে ১৭ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশি কসমেটিকস আমদানিতে আগে শুল্ক কর ছিল ৩ শতাংশ। এখন থেকে তা হবে ২০ শতাংশ। এতে বিদেশি সাবান, অর্গানিক সার্ফেস অ্যাকটিভ উপকরণ, বার কেক ও বিভিন্ন সাবান তৈরির উপকরণ, ওয়াশিং ক্রিম, ডিটারজেন্ট, লিকুইড সাবান, লিকুইড ক্রিম ও বিয়ের উপকরণের দাম বাড়বে।
আগামী এক বছর দেশ পরিচালনার সার্বিক আয়-ব্যয়ের হিসাব আছে এই বাজেটে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে।
আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ধরা হচ্ছে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটে ঘাটতি থাকবে দুই লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫.২ শতাংশ।