The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

চব্বিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ত্যাগ করলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি: স্বতন্ত্র স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে একটা কমিশন গঠনের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছেড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকালে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুর রহমান এ কর্মসূচি ঘোষণা করে আজকের কর্মসূচি স্থগিত করেন। এ ঘোষণার পর থেকে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় ও সায়েন্স ল্যাব মোড়ের যান চলাচল স্বাভাবিক হতে দেখা গেছে। এ সময় দাবি মেনে না নিলে আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে আবারও কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।

এর আগে বেলা ১২টার পর থেকে নীলক্ষেত-সাইন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা যায়।
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের এ সময় ‘অধিভুক্তি নাকি মুক্তি, মুক্তি, মুক্তি’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, মানি না, মানব না’, ‘আর নয় দাসত্ব, হতে চাই স্বতন্ত্র’, ‘ঢাবির জায়গায় ঢাবি থাক, সাত কলেজ মুক্তি পাক’, ‘নিপীড়ন নাকি অধিকার, অধিকার, অধিকার’, ‘প্রশাসনের প্রহসন, মানি না মানব না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে সেশন জট, ফলাফল বিপর্যয়, শিক্ষক সংকটসহ নানামুখী সমস্যায় বিঘ্ন ঘটছে তাদের পড়াশোনায়।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ২০১৭ সাল থেকে উন্নত শিক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয় রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে। তবে সেই উন্নত শিক্ষার লক্ষ্যে নেয়া কোন পদক্ষেপই বাস্তবায়িত হয়নি। উল্টো শিক্ষক সংকট, সেশনজট পিছু ছাড়ছেনা তাদের।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও বৈষম্য নির্মূলে কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

সোমবার শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবিগুলো হলো-
১) সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার অভিপ্রায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সংস্কার কমিটি গঠন করতে হবে।

২) সংস্কার কমিটি অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে শুধুমাত্র সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করবেন।

৩) সংস্কার কমিটি বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন; যাতে করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সেশন জটিলতার কোনও ধরনের পরিবেশ তৈরি না হয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.