The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

চবি সাংবাদিক সমিতির ইফতারে এক ছাঁদের নিচে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার

চবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন।

রোববার (৩১ মার্চ) বিকেল ৫টা থেকে নগরের জিইসি’তে হোটেল জামান এন্ড রেস্টুরেন্টে এ আয়োজন করা হয়।

চবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সমিতি সভাপতি মোহাম্মদ আজহার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা এবং সেক্রেটারি দেবদুলাল ভৌমিক, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনজুরুল কিবরীয়া এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক সভাপতি ড. শহীদুল হক।

স্বাগত বক্তব্যে চবিসাসের সহ-সভাপতি আহমেদ জুনাইদ বলেন, চবি সাংবাদিক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ন্যায় ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সবসময় কলম হাতে লড়ে গেছে। অনেকেই এই সংগঠনকে বিতর্কিত করতে, দমিয়ে দিতে বারবার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এই সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেক-হোল্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

‘রমযানের শিক্ষা: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা’ বিষয়ক আলোচনায় সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক বলেন, সাংবাদিকতা করার সময় আমরা যেন মিথ্যার আশ্রয় না নিই, এটাই আমাদের দায়বদ্ধতা। কারণ, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে বলেছেন। তাছাড়া সাংবাদিকতায় আরও একটা বিষয় আছে, সেটা হলো ধৈর্য। সাংবাদিকতায় ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কারণ এটা ধৈর্যের পেশা। মহানবীর (সা:) আদর্শ মতো ধৈর্য্য নিয়ে ন্যায় ও বস্তুনিষ্ঠভাবে আমরা সাংবাদিকতা করবো।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, চবি সাংবাদিক সমিতি প্রমাণ করেছে যে তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ করতে পারে। আমি আশা করি বর্তমান চবি প্রশাসন ও সাংবাদিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান একটা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাবে।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা বলেন, চবি সাংবাদিক সমিতির এই যাত্রা সহজ ছিলো না। বিগত সময়ে চবি সাংবাদিক সমিতির যে ধারাবাহিকতা ছিল, তা বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদিকতা করবেন। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে সাংবাদিক সমিতি এগিয়ে যাবে। ন্যায়কে সবার সামনে তুলে ধরবেন এটাই প্রত্যাশা।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, এই ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরা আমার মতে সবচেয়ে চৌকস ও দক্ষ। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে (একাডেমিক) বলেন, সাংবাদিক মানে হলো সমাজের দর্পণ। তারা দেশে ও বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য তুলে ধরেন। আমরা চাই তারা সকলে এগিয়ে যাক।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, রমজান ত্যাগের মাস, ধৈর্যের মাস। আমরা রমজানের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করতে পারলেই সত্য ও ন্যায়ের পথে যেতে পারবো। আমাদের ভুলভ্রান্তিগুলো দেখিয়ে দিলে তা শুধরে নিতে পারবো।

এছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চবিসাসের সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান, চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ প্রতিম বড়ুয়া, ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সুদীপ্ত চাকমা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সেলের পরিচালক ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম, সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট ড. শীপক কৃষ্ণ দেব নাথ, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দীন, যোগাযোগ ও সাংবাদিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন নিপু, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট ড. সজীব ঘোষ, সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ, রোকন উদ্দিন ও আব্দুল মান্নান, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম, চবিসাসের সাবেক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এতে অংশগ্রহণ করেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.