চবি প্রতিনিধি: নানা উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ হলো লক্ষ্মীপুর জেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন এর বার্ষিক বনভোজন -২০২৩। শনিবার ( ৪ ফেব্রুয়ারি) খাগড়াছড়ির তিনটি পিকনিক স্পটে এই আয়োজন সম্পূর্ণ হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় বনভোজন ছিল। ১১০ জন সদস্য নিয়ে এই বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৭ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে বনভোজনের বাসগুলো ছেড়ে যায়। প্রথম স্পট ছিল মানিকছড়ি রাবার বাগান,সেখানে সকালের নাস্তা শেষে যাত্রা শুরু আলুটিলা পিকনিক স্পটের দিকে, আলুটিলা গুহাতে। সেখান থেকে যাওয়া হয় তারেং। এরপর হয় মধ্যহ্নভোজ।
মধ্যাহ্নভোজের পর যাত্রা শুরু হয় খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্কের উদ্দেশ্যে। সেখানে ঘুরাঘুরি শেষে শুরু বিভিন্ন আয়োজন। নিজ জেলা, নিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিকনিক স্পট নিয়ে হয় কুইজ প্রতিযোগিতা। সেখানে তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় র্যাফেল ড্র। অনেক ঝাঁক ঝমকভাবে সম্পূর্ণ হয়। সেখানে মোট ১০ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এরপর লক্ষ্মীপুর জেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন এর উপ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইউনুছ এর জন্মদিন উপলক্ষে, জন্মদিনের কেক কাটার মধ্যে দিয়ে দিনের আয়োজন হয়। এরপর ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে গাড়ি ছেড়ে আসা হয়। রাত ৯ঃ৩০ এ আমরা ক্যাম্পাসে পৌঁছে যাই।
বনভোজন নিয়ে এসোসিয়েশন এর সভাপতি জনাব মোঃ জাহিদ হোসাইন বলেন- লক্ষ্মীপুরীয়ানদের নিয়ে এসোসিয়েশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বার্ষিক বনভোজন অত্যন্ত সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বনভোজনটি সফল হয়েছি! আমাদের শিক্ষক উপদেষ্টা, ছাত্র উপদেষ্টা ও সাবেকদের প্রতি ও কৃতজ্ঞতা জানাই! আমি আশা করি এসোসিয়েশনের সদস্যরা এধরনের ট্যুরের মাধ্যমে উজ্জিবীত হয়ে, সতেজ মনে শিক্ষার্থীদের উপকারে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করে এসোসিয়েশনের গৌরব উজ্জ্বল করবে!
সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম নাঈম বলেন- লক্ষ্মীপুর জেলা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক বনভোজনে সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি আমাদের আবারও নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।আমরা আশা করি ভবিষ্যতে সকল ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডে আমাদের এসোসিয়েশন সকল সদস্য নিঃস্বার্থে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।