চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশের উদ্যোগে মিলনমেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের উদ্যোগে আয়োজিত হয় এ অনুষ্ঠান।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপগ্রুপটির সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা সাখাওয়াত হোসাইনের সভাপতিত্বে ও মো. নাঈমুল হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ নেতা আফনান সজীব, মামুনুর রশিদ মামুন, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু বক্কর চৌধুরী, চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান, সাবেক সভাপতি সৈয়দ বাইজিদ ইমন, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এস এম জাহেদুল আউয়াল, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার তানিম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ও সাবেক সহ-সভাপতি জিয়াদ ইমন।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য, আসতারুল হক আকতার বলেন, ২০০৩ -০৪ সালে জামায়াত-শিবির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্ধকারের রাজনীতি তৈরি করেছিলো। বাংলাদেশ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিজয় অর্জন করে ২৫ ডিসেম্বর। অর্থাৎ বিজয় দিবসের ৯ দিন পর। এখান থেকে পাকিস্তান হানাদাররা যুদ্ধ পরিচালনা করতো। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনারা পড়ালেখা করতে আসছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অর্জন অনেক। নিজেদের পড়ালেখা ধরে রাখবেন। পরীক্ষাগুলো ভালোমতো দিবেন। মনে রাখবেন সারা বাংলাদেশে ছাত্রলীগের দিকে তাকানোর সাহস কারো নাই। আমরা রাজনীতিতে কাউকে হিসেব করে চলি না। পরিশেষে বলি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সম্পর্কে জানবেন। অন্ধকার জগত এখন আলোকিত হয়ে গেছে। ছাত্রলীগের পতাকাতলে আপনারা আরো বিকশিত হবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন এই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি করেছি। কর্মী থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এখন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগে আছি। তোমরা আমাদেরকে যেকোনো প্রয়োজনে পাশে পাবা। ছাত্রলীগের ব্যাপারে তোমরা জানো। তোমাদের বাবা-মা অনেক স্বপ্ন নিয়ে তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন। প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় বর্ষ তোমরা চেষ্টা করবে ইংরেজিতে স্কিল্ড হওয়ার, কম্পিউটারে দক্ষ হওয়ার যাতে পরবর্তীতে কোন সমস্যায় পড়তে না হয়। ছাত্রজীবনে আমরা অনার্সের চার বছর এবং মাস্টার্সের এক বছর যদি নিজেকে তৈরি না করি তাহলে জীবন অন্ধকার হয়ে যাবে আমরা যতই প্রগতির স্লোগান দেই ভবিষ্যৎ আলোকিত হবেনা। আমাদের জীবনকে আলোকিত করতে হবে৷
তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের শক্তি। উন্নত সমাজ ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখে বঙ্গবন্ধু তনয়া আমাদের উন্নত করার নিরলস সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামের যিনি আঞ্চলিক নেতা থেকে জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছেন চট্টলাবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। আমরা আজ রাজনীতিতে যে ভ্রাতৃসজ্ঞাতে লিপ্ত হয়েছি আমাদেরকে তা কমিয়ে আনতে হবে। আগামীর ছাত্রলীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে আমাদের নেতা ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চেষ্টা করছেন। তিনি সহ আমাদের শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করছেন।