The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

চবি’র চারুকলা ইনস্টিটিউটে ১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন ১২ শিক্ষক

সাইফুল মিয়া, চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে টানা ২০ দিন আন্দোলন কারছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনও আশ্বাস না পাওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যেতে অনড় তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, বেশ কয়েকবার আলোচনা হলেও প্রক্রিয়াগত যেসব কাজ রয়েছে তা শেষ করার সময় দিচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা বলছেন, গুটি কয়েক শিক্ষকের স্বার্থে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে শহরে ফেলে রাখার চিন্তা ভাবনা চলছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টায় চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে এলে শিক্ষকদের আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে মুক্ত হন তাঁরা।

জানা যায়, রোববার (২০ নভেম্বর) বিকাল তিনটায় চারুকলা স্থানান্তরের জরুরি কাগজপত্র নেওয়ার কথা বলে চারুকলা ইনস্টিটিউটে প্রবেশ করেন শিক্ষকদের একটি দল। পরে বের হবার সময় শিক্ষকদের হাতে ব্যক্তিগত কাজের ফাইল-পত্র দেখলে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

পরে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে তালা দিয়ে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। রাত আড়াইটার দিকে তাঁরা মুক্ত হন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকরা চারুকলা স্থানান্তরের জরুরি কাগজপত্র নিতে এসেছেন বলে ইনস্টিটিউটে প্রবেশ করেন। কিন্তু বের হওয়ার সময় ব্যক্তিগত এবং অফিসিয়াল কাগজপত্র নিয়ে বের হলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়।

আন্দোলনরত ছাত্ররা বলেন আমাদের একমাত্র দাবি, চারুকলা ইনস্টিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের যে সুযোগ সুবিধা আছে তা আমরা পাচ্ছি না। তাছাড়া এখানকার বেশিরভাগ অবকাঠামো ব্যবহার অনুপযোগী। এখানকার শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। টানা ২০ দিন ধরে আমাদের আন্দোলন চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি না মানা হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।

সংকট সমাধানে সোমবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বৈঠকে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বলেন, চারুকলার বিষয়টি নিয়ে আমরা বৈঠকে বসেছি। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধিরা রয়েছেন। আমরাও চাই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.