The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪

চবির আলাওল হলে দিনে অপচয় ২৮ হাজার লিটার পানি

সাইফুল মিয়া, চবিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আলাওল হলের চারতলার ওপর পানির ট্যাংক থেকে অবিরত গড়িয়ে পড়ছে খাবার পানি। মাসের পর মাস দিন রাত পানি পড়ার শব্দে শিক্ষার্থীদের ঘুমের ব্যত্যয় ঘটলেও ঘুম ভাঙেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলের ছাদের উপরে থাকা ৫টি পানির ট্যাংকের মধ্যে দুটি ট্যাংক থেকে প্রতি মিনিটে অন্তত ২০ লিটার পানি নষ্ট হচ্ছে। হিসেব করলে ঘণ্টায় প্রায় এক হাজার ২০০ লিটার বিশুদ্ধ পানি অপচয় হচ্ছে।

সেই হিসাবে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৮০০ লিটার পানি নষ্ট হচ্ছে। মাসে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮ লাখ ৬৪ হাজার লিটার।

অপচয় হওয়া এ পানির পুরোটাই খাওয়ার উপযুক্ত করে বিশুদ্ধ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পাম্পিং সিস্টেমের মাধ্যমে। অথচ মাত্র তিন থেকে চারশ’ টাকা খরচ করে ট্যাংকে লাগানো হয়নি ফ্লোট সুইচ। যার ফলে ট্যাংক ভর্তি হয়ে উপচে পড়ছে পানি।

আলাওল হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পানির ট্যাংকগুলো আগে নিচেই ছিল। কয়েক মাস আগে ট্যাংকগুলো চারতলার ওপরে তোলা হয়েছে। এরপর থেকেই প্রতিনিয়ত পানি নষ্ট হচ্ছে এভাবে। দিনরাত বৃষ্টির মতো পানি পড়ার শব্দ শোনা যায়। পানির অপচয় বন্ধে হলের শিক্ষার্থীরা প্রকৌশল দফতর, হল কর্তৃপক্ষ, হলের কর্মচারী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের কাছে বিভিন্ন সময় ধন্নাও দিয়েছেন । কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

এ বিষয়ে আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম বলেন, পানি পড়ার বিষয়টি আমি জানতাম না। পানি ছেড়ে সময়মতো বন্ধ করে দিলেই এ সমস্যাটা হয় না। আমি কথা বলে পানি পড়া বন্ধের ব্যবস্থা করবো।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. চবির আলাওল হলে দিনে অপচয় ২৮ হাজার লিটার পানি

চবির আলাওল হলে দিনে অপচয় ২৮ হাজার লিটার পানি

সাইফুল মিয়া, চবিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আলাওল হলের চারতলার ওপর পানির ট্যাংক থেকে অবিরত গড়িয়ে পড়ছে খাবার পানি। মাসের পর মাস দিন রাত পানি পড়ার শব্দে শিক্ষার্থীদের ঘুমের ব্যত্যয় ঘটলেও ঘুম ভাঙেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলের ছাদের উপরে থাকা ৫টি পানির ট্যাংকের মধ্যে দুটি ট্যাংক থেকে প্রতি মিনিটে অন্তত ২০ লিটার পানি নষ্ট হচ্ছে। হিসেব করলে ঘণ্টায় প্রায় এক হাজার ২০০ লিটার বিশুদ্ধ পানি অপচয় হচ্ছে।

সেই হিসাবে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৮০০ লিটার পানি নষ্ট হচ্ছে। মাসে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮ লাখ ৬৪ হাজার লিটার।

অপচয় হওয়া এ পানির পুরোটাই খাওয়ার উপযুক্ত করে বিশুদ্ধ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পাম্পিং সিস্টেমের মাধ্যমে। অথচ মাত্র তিন থেকে চারশ’ টাকা খরচ করে ট্যাংকে লাগানো হয়নি ফ্লোট সুইচ। যার ফলে ট্যাংক ভর্তি হয়ে উপচে পড়ছে পানি।

আলাওল হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পানির ট্যাংকগুলো আগে নিচেই ছিল। কয়েক মাস আগে ট্যাংকগুলো চারতলার ওপরে তোলা হয়েছে। এরপর থেকেই প্রতিনিয়ত পানি নষ্ট হচ্ছে এভাবে। দিনরাত বৃষ্টির মতো পানি পড়ার শব্দ শোনা যায়। পানির অপচয় বন্ধে হলের শিক্ষার্থীরা প্রকৌশল দফতর, হল কর্তৃপক্ষ, হলের কর্মচারী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের কাছে বিভিন্ন সময় ধন্নাও দিয়েছেন । কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

এ বিষয়ে আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম বলেন, পানি পড়ার বিষয়টি আমি জানতাম না। পানি ছেড়ে সময়মতো বন্ধ করে দিলেই এ সমস্যাটা হয় না। আমি কথা বলে পানি পড়া বন্ধের ব্যবস্থা করবো।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন