চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গত ৭ই সেপ্টেম্বর শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার পর উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর ও পরিবহন দপ্তরে ভাঙচুরে প্রশাসনের করা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে মানববন্ধন করেছে ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মামলার ১নং আসামি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষের শাকিল হোসেন আইমন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মারুফ ইসলাম শাকিল বলেন ছোট ভাই শাকিল হোসেন আইমন কে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। অত্যন্ত আন্তরিক, মেধাবী ও শিক্ষানুরাগী ছেলে। তার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার মাধ্যমে প্রশাসন যে খামখেয়ালিফনার পরিচয় দিয়েছে তা মোটেও মেনে নেওয়ার মত না। আমার ও আমাদের ছোট ভাইদের দাবি একটাই, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে সহ অন্যান্য নিরপরাধীদের যেন অতিসত্বর মামলা থেকে নিষ্পত্তি দেওয়া হয় এবং সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়।
বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী দীপ্ত দাশ বলেন, প্রশাসনকে সকল ছাত্রছাত্রী অভিভাবকতুল্য মনে করে, অথচ ব্যাক্তি কোন্দল এবং ষড়যন্ত্রকারীদের নোংরা ষড়যন্ত্রের কারণে শাকিল হোসেন আইমনের মত নির্দোষ শিক্ষার্থী মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছে।
আমরা প্রশাসনকে আহবান জানাই,বিচার-বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে, ভিডিও ফুটেজ,নমোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের অন্তর্ভুক্তি করা হউক এবং শাকিলকে অব্যাহতি দেওয়া হউক।
শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শেষে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে সাক্ষাৎ করে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করেন। জবাবে প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের সাথে একমত পোষন করেন এবং আশ্বস্ত করেন যে, শাকিলের মত নিরাপরাধ শিক্ষার্থী হেনস্তার স্বীকার হবে নাহ। শীঘ্রই তদন্তে কমিটিতে এই বিষয় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ৭ই সেপ্টেম্বর শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার পর ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবন,পরিবহন দপ্তর, শিক্ষক ক্লাবে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার অজ্ঞাতনামা মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।