চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। গ্রুপ দুটি হলো- ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) ও সিক্সটি নাইন। কটেজে মেয়ে বন্ধু নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়েছে নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের সময় সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে ভিএক্স এবং সিএফসির নেতা-কর্মীরা আমানত হলের সামনে অবস্থান নেয়।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলের মধ্যবর্তী সড়কে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর রাত ২টার দিকে পরবর্তীতে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় দুই পক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলমাস এক মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে কটেজে সময় কাটাতে যান। বিষয়টি জেনে সিএফসি উপগ্রুপের কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মী আলমাসের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ায়। এ সময় আলমাস তার দলীয় উপগ্রুপ ভিএক্স এর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে বিষয়টি মধ্যরাতের দিকে দুই উপগ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সিএফসি উপগ্রুপের নেতা মির্জা খবির সাদাফ বলেন, মেয়ে ঘটিত বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তিনি জানান, জুনিয়রদের ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে আমরা ইতিমধ্যে বিষয়টি মিটমাট করে নিয়েছি।
ভিএক্স উপগ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, জুনিয়র (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের দুই বন্ধুর ভুল বোঝাবুঝি থেকে জুনিয়রদের ঝামেলা হয়েছে। পুলিশ এসে দুই পক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমরা গতকাল বসে মীমাংসা করে ফেলব।
বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু তৈয়ব বলেন, সংঘর্ষে আহত হয়ে আটজন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন বলেন, ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমরা উভয় পক্ষকেই হলে ঢুকিয়ে দিয়েছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য যে, ভিএক্স উপগ্রুপ নেতা-কর্মীরা নিজেদের নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী এবং সিএফসি পক্ষের নেতা-কর্মীরা নিজেদের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচয় দেন।