The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২রা জানুয়ারি, ২০২৫

‘ঘৃণার প্রতীক’ হাসিনার সেই ছবিটি ফের আঁকলেন শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রো রেলের পিলারের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে গ্রাফিতিটি মুছে ফেলা হয়েছিল, সেটি আবারও এঁকেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার দিবাগত রাত ১টায় গ্রাফিতিটি আঁকার কাজ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত চলে পতিত শাসক শেখ হাসিনার এই গ্রাফিতি আঁকার কাজ।

শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা জনতার ‘ক্ষোভ ও ঘৃণা’র প্রতীক হয়ে ওঠা শেখ হাসিনার এই গ্রাফিতি মোছার কাজ শুরু করেন।

বিষয়টি জানতে পেরে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা। যদিও তখন শেখ হাসিনার মুখের অংশ মুছে ফেলা হয়েছিল। পরে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে সেটি পুরোপুরি মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি। পরে সেখানে নতুন করে শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্র আঁকেন শিক্ষার্থীরা।

নতুন করে ব্যঙ্গচিত্রটি আঁকেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শিমুল কুম্ভকার, চারুকলা অনুষদের ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য মৃধা রাইয়ান, ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক প্রচার সম্পাদক মমিন মুক্তার সবুজ।

এদিকে এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ ও সমালোচনা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের কেউ কেউ আগের গ্রাফিতিটি আঁকার দাবি তোলেন। কেউ বা আগের ছবিটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে গ্রাফিতিটি মুছে ফেলায় সমালোচনা করেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দপ্তর গতকাল এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেট্রো রেলের ওই পিলারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার এই ঘৃণাকে যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করবে।

ছবি মুছে ফেলার কাজটি ‘নিষ্পাপ সিদ্ধান্ত’ ছিল দাবি করে দুঃখ প্রকাশ করেন প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এটি প্রক্টরিয়াল টিমের অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আমরা আরো সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করছি।’

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.