ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর প্রভাব দেখতে সাগরপাড়ে সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছে শতশত পর্যটকসহ স্থানীয়রা। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার সতর্কবার্তা দেওয়ার পরেও তারা সমুদ্রপাড় থেকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে না। রোববার (২৬শে মে) কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাগড়পাড়ে ভিড় জমিয়েছে শত শত পর্যটক। এ সময় বড় বড় ঢেউয়ের ছবি তুলতে কিংবা ভিডিও করতে দেখা যায়। কেউ বা আবার লাইভে আছেন। পর্যটকদের দেখে মনে হচ্ছে ঈদের ছুটি কাটাতে কুয়াকাটায় এসেছে তারা।
পর্যটক ইব্রাহিম বলেন, ভয় কাজ করে কিন্তু উপভোগ করতে আরো ভালো লাগে। বড় বড় ঢেউ দেখে সার্থক কুয়াকাটায় ভ্রমণ করাটা।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা রিজিওনাল এসপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর কুয়াকাটার ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। তারা পর্যটকদের নিরাপদে রাখতে মাইকিংসহ নিরাপত্তার সংবাদ প্রচার করছে। উৎসুক পর্যটকদের কোনোভাবে বোঝানো যাচ্ছে না। তারা সমুদ্রপাড়ে ভিড় করছে। তাদেরকে বুঝিয়ে নিরাপদে চলে যেতে বলা হচ্ছে।
এদিকে সাগর পাড়ের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল নিরাপদ স্থানে সরানো শুরু করেছেন।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরেও ৯ নম্বর মহাবিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রোববার (২৬শে মে) সকালে ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া এক বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
এদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে কক্সবাজার রুটের সব ধরনের বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়ছে।
আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রেমাল রোববার (২৬শে মে) সন্ধ্যার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।