The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫

গ্রেপ্তারের পর কে কার জন্য তদবির করেছে, সেই খবর আমাদের কাছে আছে : হাসনাত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, গ্রেপ্তারের পর কে কার জন্য তদবির করেছে এই খবর আমাদের কাছে আছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

হাসনাত লিখেন, যারা আগে আন্দোলনের ডাক দিয়ে মাঠ থেকে সরে যেত, তারাই এখন আঁতাতের রাজনীতি, ভারতনির্ভর কূটনীতির মাধ্যমে আওয়ামী পুনর্বাসন চাচ্ছে।

তিনি আরও লিখেন, দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় কার সঙ্গে কে ব্যবসা করেছে, আর গ্রেফতারের পর কে কার জন্য তদবির করেছে, এ খবর আমাদের কাছে আছে। যারা আগে আন্দোলনের ডাক দিয়ে মাঠ থেকে সরে যেতো, তারাই এখন আঁতাতের রাজনীতি, ভারতনির্ভর কূটনীতির মাধ্যমে আওয়ামী পুনর্বাসন চাচ্ছে।

“দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় কার সাথে কে ব্যবসা করেছে,আর গ্রেপ্তারের পর কে কার জন্য তদবির করেছে এই খবর আমাদের কাছে আছে। বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির কোনো দ্বন্দ্ব না থাকার কথা বললেন অকপটে। অথচ তিনি ভুলে গেলেন, এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফ্যাসিজম কায়েম করেছে। গুম, খুন ও গণহত্যা করে বাংলাদেশকে অরাজকতার শীর্ষ চূড়ায় নিয়ে গিয়েছে। এতসব অন্যায়-অনাচার ও যুলুম-নিপীড়নের দায় এড়িয়ে তিনি আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক ব্ল্যাংক চেক দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাও করলেন না।

আবার তিনিই বললেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কিছু আসে যায় না। অথচ উনি ভুলে গেলেন, এই আওয়ামী লীগই বিগত তিনবারের জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, এই আওয়ামী লীগের কারণেই তার দল বিএনপি বিগত সময়ের জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলো বর্জন করতে বাধ্য হয়েছে।

গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশের কাঠামোগত পরিবর্তন করার সময় ও সুযোগ এলো অথচ বিএনপি দেশ পুনর্গঠনের এই সুযোগকে অবমূল্যায়ন করে হাজির হলো ১/১১ সরকারের ফর্মূলার আলাপ নিয়ে। ওদিকে অন্তর্বর্তী সরকার যখন দেশ সংস্কারের কাজে নিয়োজিত হলো তখন বিএনপি এসে বললো, এই সংস্কার করার ম্যান্ডেট বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই। অথচ বিএনপি এ কথা ভুলে গেলো, গণঅভ্যুত্থানের ফলে গঠিত হওয়া সরকারের ম্যান্ডেট ষাট-সত্তরভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়া রাজনৈতিক দলের চেয়েও বেশি।

আবার, দেশ ও দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে গণঅভ্যুত্থানের পরে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা উপস্থিত হলো জনসমক্ষে। ঠিক এ কারণেই ফ্যাসিবাদবিরোধী ও জুলাই স্পিরিট ধারণকারী ছাত্র-জনতার সম্মিলনে যখন নতুন একটি রাজনৈতিক দলের উত্থান হওয়ার আভাস পেলো ঠিক তখন বিএনপি সেটিকে চিহ্নিত করলো তাদের দলীয় স্বার্থের বিপক্ষে হুমকি হিসেবে। মানবজমিনের ভাষ্যমতে, ছাত্র-জনতার সম্মিলনে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ বানচাল করতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মাঝে উদ্বেগ ও শঙ্কা আদান-প্রদান হয়েছে। অর্থাৎ, বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনরায় আওয়ামী লীগের অবাধ অনুপ্রবেশ করতে দিলেও ছাত্র-জনতার সম্মিলনে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের উত্থান দেখতে চায় না।”

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.