গ্রেড সুরক্ষাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী বেতন গ্রেড সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানান তারা।
সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী বেতন গ্রেড সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকারি কলেজ বিহীন প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সারা দেশে প্রায় ৩৫০টি কলেজ সরকারিকরণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারিকরণের কাজ চূড়ান্ত করতে সরকারিকৃত কলেজশিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮ জারি করা হয়। কিন্তু এ বিধি অনুযায়ী অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্বে প্রাপ্ত বেতন গ্রেড অবনমন করা হয়েছে। যা বে-সরকারি আমলের বেতনের চেয়ে অনেক কম, বিষয়টি খুবই অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ শতাধিক কলেজে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষে ৭ম গ্রেড ধারী শিক্ষক ও কর্মচারীরা অবনমনকৃত গ্রেডে প্রায় ৭-১৫ হাজার টাকা কম বেতন ভাতাদি পাওয়ায় তারা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়াও বে-সরকারি আমলে আহরিত লাখ লাখ টাকাও ফেরত দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি অবসরকালীন সময়ে শ্রেণিভেদে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এরই মধ্যে ৭ হাজার শিক্ষক কর্মচারী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
লিখিত বক্তব্যে ৬ দফা দাবি উত্থাপন গ্রেড সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক করেন শামসুল আলম, দাবিগুলো হলো:
১) আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮ এর কালো ধারা,
২) উপধারা সংশোধন করে বেসরকারি আমলে এমপিও শিটে প্রাপ্ত বেতন গ্রেড বহাল রাখা,
৩) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২২ সালের ৬ জুলাই তারিখের সভার সুপারিশ বাস্তবায়ন করা,
৪) গ্রেড সুরক্ষার বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রকাশ করা,
৫) সপ্তম গ্রেডধারীদের প্রমোশন দিয়ে সহকারী অধ্যাপকের মর্যাদা দেওয়া,
৬) আত্মীকরণ থেকে বেসরকারি আমলের সময়কাল সরকারি হিসেবে নিয়ে পেনশন এবং ছুটিসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া।
আগামী ৩১ জুলাই এর মধ্যে গ্রেড সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুশিয়ারিও দেন সংগঠনের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্যসচিব সাজেদুর রহমান লিটু, যুগ্ম আহ্বায়ক নাছির উদ্দীনসহ অন্যরা।