গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামীণ টেলিকম ভবন জবর দখল করে রেখেছে। ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা ভবনে তালা দিয়ে রেখেছে। এ কারণে ভবনে ঢুকতে পারছেন না নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের কাছে সহায়তা চেয়েও তিনি পাননি। দেশ কীভাবে চলে এমন প্রশ্নও করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুর গ্রামীণ টেলিকম ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব অভিযোগ করেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে অবস্থিত আটটি অফিস দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, ‘ওই দিন থেকে তারা ভবনে তালা মেরে রেখেছে। নিজের বাড়িতে অন্য কেউ যদি তালা মারে তখন কেমন লাগার কথা আপনারাই বলেন। তাহলে দেশে আইন আদালত আছে কিসের জন্য। তারা আদালতে যেতে চায় না। আমরা জীবনে বহু দুর্যোগ দেখেছি। এমন দুর্যোগ আর কখনো দেখিনি।’
ড. ইউনূস বলেন, এভাবে দেশ চলছে কীভাবে। আমাদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল হচ্ছে। এ বিষয়ে আদালতে শরণাপন্ন হবেন বলে জানান তিনি।
ড. ইউনূসের সংবাদ সম্মেলনের কথা শুনে সকালে মিরপুরে ঝাড়ু মিছিল বের হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ব্যবসার মুনাফার টাকায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় হয়নি। যা হয়েছে আইন মেনে হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নোবেল জয়ী এই অর্থনীতিবিদ। ‘পুলিশের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। কিন্তু তারা ঘুরে গিয়ে কোনো অসুবিধা দেখছেন না জানান। জবরদখলের পর আমরা নিজের বাড়িতে ঢুকতে গেলে তারা আমাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করছে। নিজের অফিসে ঢুকতে পারবো কি না- এটা এখন বাইরের লোকের এখতিয়ার হয়ে গেছে। ‘
ঢাকার মিরপুর ১ নম্বরে চিড়িয়াখানা সড়কে গ্রামীণ টেলিকম ভবন। এ ভবনে ড. ইউনূসের ১৬ টি কোম্পানি রয়েছে। যার প্রতিটির চেয়ারম্যান তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্মেলনে বলেন, যখন দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ হচ্ছে তখন এ অবস্থা। দেশবাসীকে বলবো, এভাবে দেশ কীভাবে চলে? আমাদের সব অফিসের প্রধান কার্যালয় এটি। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য এখান থেকে কাজ করা হয়।‘