রেকর্ড মানেই প্রতিনিয়ত ভাঙা গড়ার খেলা।নিত্য নতুন রেকর্ডে সয়লাব হচ্ছে বিশ্ব।একে অপরকে ছাড়িয়েও যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।নতুন কিছু করার তাগিদে ক্রমাগত ছুটে চলছে উদ্দ্যমী মানুষের কৌতূহলী মন।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এইবার নাম লিখিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী প্ৰেনচ্যুং ম্রো।পা দিয়ে এক মিনিটে সর্বোচ্চ ২০৮ বার ফুটবল ট্যাপ করে এ রেকর্ড অর্জন করেন তিনি।এর আগে এক মিনিটে সবচেয়ে বেশি বার পা দিয়ে ফুটবল ট্যাপ করার রেকর্ডটি ছিল ভারতের গুজরাটের ছেলে ময়ূর মাকওয়ানার।২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারী এই রেকর্ড গড়েন মাকওয়ানার।এছাড়া ঢাকার মোস্তাকিমুল ইসলাম ও যৌথভাবে এই রেকর্ডটি অর্জন করেন চলতি বছরের এপ্রিল মাসে।তারা উভয়ে ১ মিনিটে ২০৭ বার ফুটবল ট্যাপ করেছিলেন।
প্রেন চ্যুং ম্রো বান্দরবান সদরের ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের লামার পাড়ার মৃত পিয়াচাং ম্রো’র ছেলে।তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।তিনি ২০১৭ সালে বান্দরবান সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০১৫ সালে ম্রো আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন।তিনি ভালো শিক্ষার্থীর পাশাপাশি একজন সম্ভবনাময়ী ফুটবলারও।২০২০-২১ সিজনে ফর্টিস এসসির হয়ে ঢাকায় প্রথমবারের মতো বিসিএল খেলেন।২০২১ মৌসুমে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার লিগে সেরা সাফল্য অর্জন করেন।সে বছরেই ব্রাদার্স ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন হয়। পাশাপাশি জেলা টিম এবং বিশ্ববিদ্যালয় টিমেও খেলেছেন প্ৰেনচ্যুং ম্রো।
বিশ্ব রেকর্ডের এই পথচলার গল্প জানতে চাইলে প্ৰেনচ্যুং ম্রো দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাসকে জানান,চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে সর্বপ্রথম কনক কর্মকারের ভিডিও দেখে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের বিস্তারিত জানতে পারেন তিনি।কনক এক মিনিটে ১৯৭ বার ফুটবল ট্যাপ করেছিলেন।কনক কর্মকারের এই রেকর্ডটি দেখার পর থেকে তিনি তা ভাঙার পরিকল্পনা করেন এবং অনুশীলনে নেমে পড়েন।অনুশীলনের তিন দিনের মাথায় কনক কর্মকারের সেই রেকর্ড ভাঙার সক্ষমতা অর্জন করেন।গত ২৪ এপ্রিল তারিখে ১ মিনিটে পা দিয়ে সর্বোচ্চ ২০৮ বার ফুটবল ট্যাপ করার ভিডিও এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ বরাবর সাবমিট করেন।এরপর দীর্ঘ ৬ মাসেরও বেশি সময় পর যাচাই বাছাই করে গত বুধবার (২ নভেম্বর) তারা রেকর্ডটির স্বীকৃতি দেন এবং গিনেস বুকের ওয়েবসাইটে রেকর্ডটি অন্তর্ভুক্ত করেন।
প্ৰেনচ্যুং ম্রো’র এই সাফল্যে খুশি তার পরিবার,বন্ধু মহল, চবির শিক্ষার্থী ও তার ডির্পাটমেন্টের শিক্ষকরা।