খুবি প্রতিনিধি : সাম্প্রতিক সময়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ক্যাম্পাসে বেড়ে চলছে সাপের উপদ্রব। গত দুইদিনে দুইটি বিষধর সাপ বের হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, দিনের আলোতেই বিষাক্ত সাপ ঝোপঝাড় থেকে বেরিয়ে আসছে। প্রতিনিয়ত ক্যাফেটেরিয়া, একাডেমিক বিল্ডিং, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে এসব বিষাক্ত সাপের। এতে শিক্ষার্থীরা দিনে, রাতে রাস্তাঘাটে চলাচল সহ বিভিন্ন স্নানে অবস্থান করা নিয়ে অনেকটা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট ) বিশাল আকৃতির অত্যন্ত বিষধর কাল কেউটে সাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া সংলগ্ন লেকের পাশের স্তুপ থেকে বেরিয়ে আসে৷এ সময় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং অনেক চেষ্টার পর সাপ মারতে সক্ষম হয়।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩নং একাডেমিক ভবন থেকেও বিশালাকৃতির এক সাপের দেখা পাওয়া যায়। অনেক চেষ্টার পর সেটিকে ধরাশায়ী করেন সংশ্লিষ্টরা। এ দুটি ছাড়া এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে নানা প্রকার বিষধর সাপ দেখেছেন বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
এদিকে, ক্যাম্পাসে সাপের এই উপদ্রব বাড়ায় আতঙ্কে আছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করছেন তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের সৌরভ আজাদ বলেন, ‘আগের চেয়ে ক্যাম্পাসে সাপের উপদ্রব বেড়েছে, মাঝে মাঝেই ক্যাম্পাসে সাপ বের হয়। এতে করে যেকোন সময় ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে তাই আমরা আতঙ্কিত। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাপ নিধনে দ্রুত ব্যবস্থা নিক। যে সকল জায়গায় সাপ থাকার মত সেগুলো ভালো মতো পরিস্কার করা এবং শিক্ষার্থীদের সচেতন ভাবে চলাফেরা করলে আশাকরি কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, যেহেতু এখন বর্ষাকাল তাই বৃষ্টির কারণে সাপেরা বাহিরে বের হয়ে আসছে। এ ধরনের কিছু দেখা দিলেই আমরা সাপুড়ে দিয়ে ধরার চেষ্টা করি, যদি কোনো উপায়ন্তর না পাই তখন মেরে ফেলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঝোপঝাড় নিয়মিতভাবেই পরিস্কার করা হয়। তবুও এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।’ পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে সতর্কভাবে চলাফেরা করার পরামর্শ দেন তিনি।